আসানসোল: গরুপাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Monda)l। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির পর গুড়-বাতাসা বিলির ছবি দেখা গিয়েছে। আসানসোল কোর্টের বাইরে বাম-বিজেপির একযোগে বিক্ষোভও দেখা যায়। তেমনই আরেকটি ছবি দেখা গেল। এবার বিরোধীদের পছন্দ ঢাক। আর ঢাক বাজালেন খোদ বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।


ঢাক বাজালেন অগ্নিমিত্রা: অনুব্রতর গ্রেফতারিকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে বিরোধীরা। আসানসোল কোর্টে আনতেই জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভের ছবিও সামনে এসেছে। পাশাপাশি এদিন ঢাক বাজালেন অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। এদিন তিনি বলেন, “সারা বাংলার সন্ত্রাসের মুখকে আজ সিবিআই গ্রেফতার করেছে। যে বলেছে মেরে শুটিয়ে দেব, যে বলেছে বোমা মারব, গুড়-বাতাসা, নকুলদানা, চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলেছে মানুষকে ভয় দেখাতে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী, মহিলাদের ধর্ষণের দায়ী, মুখ্যমন্ত্রী আশকারায় এই কাজ করেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাকরি চুরি করেছে, এর সঙ্গে গোটা তৃণমূল জড়িত। তৃণমূলের নেতৃত্ব বলছে, সব তৃণমূল চোর নয়। আপনারা শুধু চোর নয়, ডাকাত।’’


বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে। বাড়ি ঢুকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে  গ্রেফতার করে সিবিআই। সকালে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্তত ১০০ জওয়ান বোলপুরের বাড়ি ঘিরে ফেলে। আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে পৌঁছয় সিবিআই। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের ফোন নিয়ে নেয় সিবিআই। তল্লাশির পাশাপাশি অনুব্রতকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। এদিন বিকেলে তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ আদালতে। গরুপাচারকাণ্ডে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।


পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে।সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের। গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯ বার হাজিরা এড়াল তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : অনুব্রত গ্রেফতার হতেই গ্রামে নকুলদানা বিলির আবেদন, 'একদম' সায় দিলীপের