কলকাতা : গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। সকালে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বোলপুরের বাড়ি সিআরপি-র ১০০ জওয়ান নিয়ে ঘিরে ফেলে সিবিআই। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের উদ্দেশে। সেখানে মেডিক্যাল টেস্টের পর আজই অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল কোর্টে তোলার কথা সিবিআইয়ের। আর তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পরই কলকাতা থেকে জেলা-গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেই শুরু গুড়-বাতাসা-নকুলদানা বিলি শুরু বিজেপির। 


গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Scam) অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর এস এন ব্যানার্জি রোডে ডিসি সেন্ট্রালের অফিসের সামনে হয় বিজেপির উৎসব পালন। উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বে পথচলতি মানুষকে খাওয়ানো হয় নকুলদানা, গুড়-বাতাসা। বাসে উঠেও বিলি করা হয়। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মোড়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে গুড় বাতাসা বিলি করলেন কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। পথচারীদের মধ্যে বিলি করা হয় গুড়-বাতাসা।


গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরেই আসানসোলের কোর্ট মোড়ে পথচলতি মানুষকে নকুলদানা, গুড়-বাতাসা খাওয়ালেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বাজল ঢাক। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে গুড়-বাতাসা, নকুলদানা বিলি করলেন বিজেপি কর্মীরা।


বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা সিবিআইয়ের (CBI)। জাতীয় সড়কের দু’ ধারে জনতার ভিড়। কেউ কটাক্ষ করছেন, কেউ তুলছেন ছবি। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরেই বাঁকুড়ায় পথে নামলেন বিজেপি কর্মীরা। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পেয়ারাবাগান এলাকায় পথচলতি মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে নকুলদানা ও গুড়-বাতাসা বিলি করা হয়। ঢাকও বাজান বিজেপি কর্মীরা। 
আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে পৌঁছয় সিবিআই। সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের দাবি, গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ মিলেছে। তাঁদের থেকে টাকাও অনুব্রত পেতেন বলেই দাবি করেছেন সিবিআইয়েক তদন্তকারী অফিসাররা। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিনি রয়েছেন হেফাজতে। তার সঙ্গে অনুব্রত-র যোগাযোগ থেকে শুরু করে সম্প্রতি দাখিল করা চার্জশিট, সবেতেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম রেখেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।


গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। মাত্র একবার হাজিরা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের। 


আরও পড়ুন- গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কী বললেন অনুব্রত