কলকাতা : তৃণমূলের একুশে সমাবেশের দিনই শক্তি প্রদর্শন দিলীপ ঘোষের। খড়গপুরে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি সভায় এসে শাসকদলকে একহাত নিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। মূলত সম্প্রতি রাজ্যে এসে মেগাসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে শোনা যায়, জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা। এদিকে বরাবর জয়শ্রী রাম স্লোগানের পাশে আচমকাই এই স্লোগান নিয়ে নিশানা করে অন্যান্যরা। এদিন তারও উত্তর দিলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি বললেন, 'বাংলা ভাষাই শুদ্ধ বলতে পারেন না, আবার হিন্দি বলবেন ?' নাম না করেই কাকে তোপ দাগলেন দিলীপ ? 

আরও পড়ুন, মমতা হাইজ্যাক করে একুশে জুলাই করছেন, এর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই : অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

প্রশ্ন : একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জগন্নাথ ধামের পর এবার দুর্গাঙ্গন করবেন..

দিলীপ : কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ এগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। ভগবানের আশীর্বাদে বা জগন্নাথের আশীর্বাদে, উনি ভোট জিততে পারবেন না। বাংলার জনতা খুবই জাগ্রত। বাংলায় মন্দিরের অভাব নেই। আপনি প্রশাসন ঠিক করে চালান।  

প্রশ্ন : উনি ভাষা আন্দোলন শুরু করবেন বলেছেন..

দিলীপ : কী ভাষা আন্দোলন শুরু করবেন ? উনি ভাষাই ঠিক করে বলতে পারেন না, বাংলা ভাষাই শুদ্ধ বলতে পারেন না, আবার হিন্দি বলছেন !

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, এই জঙ্গলমহল, এখানকার ভাইরা এসেছেন, একবেলা পান্তা খেয়ে একবেলা মুড়ি খেয়ে। এদেরকে তৃণমূল গত ১৫ বছর ধরে শোষণ করেছে। তার আগে কংগ্রেস করেছে। এই জঙ্গলমহলের মানুষ বঞ্চিত।..এই যে জগন্নাথ, তার হাত নেই, পা নেই। তিনি কোথাও যান না, কিন্তু কী আছে ? দুটো বড় বড় চোখ আছে। যে চুরি করছে, কে কাটমানি নিচ্ছে, কে সিন্ডিকেট চালাচ্ছে ? কে চাকরির টাকা নিয়েছে ? তিনি সব দেখছেন। 

 তিনি আরও বলেন, 'এটা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা বার্ষিক উৎসব করেন। শহিদ দিবসটা দিনে দিনে ডিমভাত দিবস হয়ে গিয়েছে। যে হালচাল দেখছি, আমার মনে শেষ শহিদ দিবস। তৃণমূলই শহিদ হবে। ছাব্বিশে বোধহয় ওরা আর শহিদ দিবস করার সুযোগ পাবে না।...এই পার্টিটাই লুটের পার্টি। কারও বাড়ি ঘর, মান সম্মান লুট করছে। কংগ্রেসের কাছ থেকে শহিদ লুট করে নিয়ে এসেছে। তাঁতে ওদের কী কন্ট্রিবিউশন আছে ? খাচ্ছে, লুটছে। তাঁদের ওই শহিদদের সঙ্গে কী সম্পর্ক ? একটা স্টান্ট। বাঙালি সেন্টিমেন্টকে জাগিয়ে ভোট নেওয়ার জন্য।'