উত্তর দিনাজপুর: ‘মোদি (PM Narendra Modi) বাংলার সেবা করতে চাইলেও দিদি দিচ্ছেন না। কেন্দ্রের (Centre) পাঠানো টাকা লুঠ হয়েছে বাংলায়’, করণদিঘির সভা (Karandighi Meeting_ থেকে এবার তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের  (Dilip Ghosh)। অভিযোগ, বাংলায় ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, '১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির জেরে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। টাকা নিতে গেলে হিসেব দিতে হবে।'


আর কী বললেন?
এদিন করণদিঘির সভা থেকে তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন দিলীপ। বলেন, 'মোদিজি বলেছেন, এক পরিবারকে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা দেব। পাঁচ লক্ষ টাকা অনেক, আমরা খরচ করতে পারি না। ...আপনারা চেন্নাই যান, কলকাতায় যান, তাও হয়ে যাবে। আর দিদিমণির স্বাস্থ্যসাথী তো শুধু বাংলায় চলে। তাও বেসরকারি হাসপাতাল নেয় না। আর মোদিজির আয়ুষ্মান ভারত কার্ড সারা ভারতে চলে।' জীবিতকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যে, এই অভিযোগেও সুর চড়ান দিলীপ। এর পর আসে চাকরি চুরির অভিযোগও। তাঁর কথায়, 'যে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় ভাল, এসএসসি দিয়ে পাশ করেছে, চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পায়নি। কোথায় গেল চাকরি? প্রাইমারি থেকে হাইস্কুল, সর্বত্র ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।' শুধু তাই নয়। ডিএ বাড়ানো হচ্ছে না সরকারি কর্মীদের, এই প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে নিশানা করেন দিলীপ। তাঁর ইঙ্গিত, সারা দেশে নানা রাজ্যের সরকার যখন ডিএ বাড়াচ্ছে... তখন দিদিমণি দিচ্ছেন না।'    


চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে ...
এদিকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে ১ কোটি চিঠি পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই নির্দেশের পরই চিঠি পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে শুরু হয়েছে চিঠি লেখার কাজ। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডাররা। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। সকাল থেকে নারায়ণগড় ব্লকের বাখরাবাদ ১৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খালিনা বুথে  প্রধান মন্ত্রী কে চিঠি পাঠানোর জন্য ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডাররা বিক্ষোভ মিছিল করে এসে খালিনা বাজারে সই সাক্ষর চিঠি লিখে খামের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। এবং সেটা অভিষেকের দফতরে পাঠানো হবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সকাল থেকেই জব কার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই শ্লোগান তুলে। বাজারের মোড়ে টেবিল পাতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নিচে সাদা কাগজে চিঠি লিখে স্বাক্ষর করতে থাকেন মহিলা থেকে পুরুষ সমস্ত ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড ধারীরা।


আরও পড়ুন:৫ দিনের ভোগান্তি শেষ, পুরুলিয়ায় অবরোধ প্রত্যাহার কুড়মিদের ! এরপর কী ?