প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া : তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা (Tapas Saha) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা (BJP Leader)। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস সাহার। নজর ঘোরানোর চেষ্টা, কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ। অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে, শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার ভোর অবধি টানা সাড়ে ১৪ ঘণ্টা তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এরপর, শনিবার সকাল ১০ টায় তাপস সাহা ঘনিষ্ঠ ইতি সরকারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যিনি, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।
তৃণমূল নেত্রী ইতির অভিযোগ, সিবিআই তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এই আপত্তিকর ফেসবুক পোস্ট করেন বেতাইয়ের বাসিন্দা বিজেপি নেতা রতন ভুঁইয়া। তেহট্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকার। এরপরই পুলিশ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ইতি সরকার বলেছেন, 'মমতাকে ভালবেসে দল করি। পিতার মতো সম্মান করি তাপস সাহাকে। আমার ছবি দিয়ে কুরুচিকর পোস্ট।'
যা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেছেন, 'ইতি আমার ছেলের বয়সী মেয়ে। প্রত্যাশা করিনি। ভদ্রতা বলে একটা কথা আছে। বিজেপির ছেলেদের নোংরামি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা বাঙালি। গরিব ঘরের মেয়ে রাজনীতি করছে। বাঙালি পরিবারের মেয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা।'
এদিকে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, নজর ঘোরাতেই পুলিশ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেছেন, 'পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে মিম তৈরি হলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তাপস সাহার ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই পুলিশ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে।'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ থেকে ১৩ টি সরকারি স্কুলে পোশাক সরবরাহের বরাত পান ইতি সরকার। তাপস সাহা কি প্রভাব খাটিয়ে ইতিকে এই বরাত পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন? ইতি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও, তার তদন্তেই শনিবার ইতির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের নেত্রী ইতিকে তলব করতে পারে সিবিআই।
আরও পড়ুন- 'অভিষেককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই' যাত্রা শুরুর আগে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের