কলকাতা: এবার মাধ্যমিক নিয়েও রাজনৈতিক তরজা। প্রশ্নফাঁসের জেরে ১৩ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলের জন্য পর্ষদকে কাঠগড়ার তুলল বিজেপি (BJP on Madhyamik) নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
কী অভিযোগ?
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার দাবি, 'প্রশ্নপত্র ফাঁসের (Question Paper Leak) অভিযোগে মাধ্যমিকে ১৩ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কোনও পরীক্ষা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।' পরীক্ষাকেন্দ্রে দেখভালের দায়িত্বে থাকেন পরীক্ষা পরিদর্শকরা। তাঁদের চোখ এড়িয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার্থীরা কীভাবে ঢুকল? কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
মাধ্যমিকে (Madhyamik Examination 2024) প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তাঁর তোপ তৃণমূলের দিকে। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, 'মাধ্যমিক পরীক্ষাটা চালায় এখন তৃণমূল। পর্ষদ সরকারকে জানিয়েছে তাদের ২৭০ ক্যাজুয়াল স্টাফ আছে। পর্ষদ সরকারকে ভুল পথে চালিত করছে। তৃণমূল নেতা শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাধ্যমিকের কনফিডেন্সিয়াল সেকশনের প্রধান করা হয়েছে। পড়ুয়াদের ফাঁসানো হচ্ছে, ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হচ্ছে।' প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য পড়ুয়াদের পরীক্ষা বাতিল হলেও কেন কোনও পরীক্ষা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিস্ফোরক শঙ্কুদেব পণ্ডা:
বিজেপি নেতার অভিযোগ, 'মাধ্যমিক পরীক্ষা চালাচ্ছেন আরেক ভাইপো শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শ্রমিক গঠনের নেতাকে কীভাবে মাধ্যমিকের দায়িত্ব? অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্লার্ক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে মাধ্যমিকের কনফিডেন্সিয়াল সেকশনের দায়িত্ব? শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রশ্ন লিক হচ্ছে।' তাঁর অভিযোগ, 'পড়ুয়াদের ফাঁসিয়ে প্রশ্নফাঁসের কারবার চলছে। কোন অয়ন শীল এই পুরো ব্যবস্থা চালাচ্ছেন? কারা কিউআর কোড তৈরি করল? আমরা এই ঘটনার সিবিআই ও ইডি তদন্ত চাইছি। প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে যাব, যাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে, তারাও আসুক।' যাঁদের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে তাঁদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
সব অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
পরীক্ষা শুরুর আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিলে এবারে প্রশ্নপত্রেই লুকনো কোড রয়েছে। প্রশ্নপত্রের ছবি তুললেই সেই ছবি দেখে লুকনো কোড থেকে বের করা যাবে কারা সেই ছবি তুলেছে। সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করেই এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।