কলকাতা: ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত কলকাতা। জলের নীচে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট। নিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। এদিকে জমজলের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের। এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। কী বললেন বিরোধী দলনেতা ? 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, যারা দুর্যোগকে নিয়ে রাজনীতি করেন, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Continues below advertisement

এদিন শুভেন্দু বলেন, শ্রীভূমি হাতিবাগান টালা প্রত্যয়, এই মুহূর্তে ক্যামেরা পাঠান। থইথই করছে জলে। সর্বশক্তিমান মা দুর্গা, পাপ মেনে নেননি। মারা গিয়েছেন যারা, তাঁদের সম্পর্কে কলকাতা পুলিশের, কোনও স্টেটমেন্ট নেই। নো প্রেস রিলিজ। নো এফআইআর, নো অ্যাকশন। এরা কী ভাবে মারা গেলেন?...( বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রসঙ্গ তুলে) নিশ্চিতভাবে ৬০০ কোটি টাকা ইলেকটোরাল বন্ডে দেওয়া সঞ্জীব গোয়েঙ্কা-রা দায়ী। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। ...আমার কাছে সব ডিটেলস আছে। আপনারা এফআইআর না করলে, আমরা পরিবারকে দিয়ে এফআইআর ও করাবো। জনস্বার্থ মামলাও করব। কলকাতার পুলিশ কমিশনার , কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, CESC এর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, আমরা তিনজনকেই জেলে দেখতে চাই। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই।

বিরোধী দলনেতা আরও বলেন,' আমরা এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে,  যা যা করণীয় কাজ, প্রতিবাদও হবে। সহনগারিকদের মৃত্যুর জন্য, যারা অভিযুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য, যাযা করার তা করা হবে। এবং সেই পরিবারগুলির পাশেও..আমি সকলকে আবেদন করব,  যেহেতু সরকার এখনও পর্যন্ত পাশে  দাঁড়ায়নি, সিইএসসি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও কোনও উপযুক্ত ঘোষণা হয়নি, যদিও মৃত্যু কোনও ক্ষতিপূরণ দিয়ে হয় না।.. প্রত্যেকটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্লার্কের চাকরি দিতে হবে। গ্রুপ সি। এবং ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ রাজ্য সরকারকে, ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ  সিইএসসি-কে এবং ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কলকাতা কর্পোরেশনের ওন্ ফান্ড থেকে দিতে হবে। এই মৃত্যুর জন্য যদি কেউ দায়ী থাকেন, তাঁর নাম হল পশ্চিমবাংলার অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং প্রপারলি আইএমডি জানানো সত্ত্বেও যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কণ্ঠরোধ করার জন্য, যে পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়,তাঁদের উদ্যোগে, এই কর্পোরেশনের উদ্যোগে, এবং ডিজাস্টার ম্যানজমেন্টের যারা যারা আছেন,...কোনও সতর্কতা না নেওয়ার ফলে, ১০ জন সহনাগরিককে আমাদের কলকাতার মতো শহরে, আজকে তাঁরা প্রাণ হারালেন। আমি বলব এটা পরোক্ষভাবে খুনি। 

মুখ্যমন্ত্রী নিজে দায়ী। মুখ্যমন্ত্রী কেন প্রেসে জানিয়েছেন, এটা আকাশভাঙা বৃষ্টি হয়েছে ? এগুলি পাহাড়ি এলাকায় হয়। উত্তরাখণ্ডে হয়েছে, হিমাচলে হয়েছে। এখানে আবার কী ? !  এত বলে দিয়েছিল IMD, ..ওনার এই যে মা দুর্গা, এই পিতৃপক্ষে গিয়ে একটা বিশেষ ভোট ব্যাঙ্ককে বার্তা দেওয়ার জন্য যেভাবে, শক্তি দায়িনি রুপংদেহি মাকে যেভাবে অপমান করেছেন, পরম শক্তিশালী মা, এটা ভালভাবে নেননি। পিতৃপক্ষে উদ্বোধন এবং হিজাব পরে, কাঁচি নিয়ে উদ্বোধন, এরফল ভোগ করতে হচ্ছে কলকাতার মানুষকে। এবং বাংলার মানুষকে।'