বিরাটি : SIR নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে করলেন নিশানা । বিরোধী দলনেতা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, "কোথাও কারও শব্দ নেই। শুধু, এখানে পিসি এবং ভাইপো...এদের ব্যাপক যন্ত্রণা।"
গতকাল পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর প্রক্রিয়া শুরুর দিনেই সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও নিশানা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে। তৃণমূলের যাবতীয় অভিযোগের এদিন পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যত সাপে কাটা, গাছ থেকে পড়া, বাজ পড়ে মরা, যত যা হবে...স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় ঝুলে পড়া সব...ওই যে টাকা দিয়েছে চাকরি পায়নি, ২৬ হাজার যোগ্য গেছে, ৩২ হাজার প্রাইমারি ঝুলছে...যতজন ঝুলবে সব পিসি-ভাইপো কাঁদতে আরম্ভ করবে। ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোথাও কোনও আওয়াজ নেই। টুঁ শব্দ নেই। বিহারে তেজস্বী যাদব, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন...এসআইআর হলে ভোটে লড়ব না। তাঁরাই ক্যাম্পেন করছেন। কোথাও কারও শব্দ নেই। শুধু, এখানে পিসি এবং ভাইপো এদের ব্যাপক যন্ত্রণা।"
এর পাশাপাশি রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ডাক দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, "উত্তরপ্রদেশেও জঙ্গলরাজ ছিল। ইউপিতে অতীত করে দিয়েছে। অনেক সংগ্রাম হয়েছে। বিহারে জঙ্গলরাজ ছিল। আজ সেখানেও নীতীশ কুমার শেষ করে দিয়েছেন। এই বাংলার হিন্দুরা যদি জাগ্রত হয়...বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভোটটা করুন। ছুটি কাটাবেন না। ছুটির দিন একটু ভাল-মন্দ খেয়ে ছুটি কাটাবেন না। ধমকে দিয়ে গেছে পাড়ার পেঁচু, গাল-কাটা, নাক-কাটা, হাত-কাটা দিলীপ, বাড়ি থেকে বেরোবেন না...এটা করবেন না। দিস ইজ লাস্ট চান্স। বাড়ি থেকে বেরিয়ে হিন্দু ভোট করুন। ৮৫ শতাংশ অন্তত ভোট করুন। দেখবেন, বাংলায় সব ঠিক হয়ে গেছে। টাটা কোম্পানিও ফিরে আসবে। বাইরে চলে যাওয়া শিক্ষিত যুবকরাও আসবে। সরকারি কর্মচারী, পেনশনার, শিক্ষকরাও ডিএ পাবেন। সব হবে। বেকাররা হাসবে। শিল্প হবে। প্রাইভেট স্কুলে বাচ্চাদের পাঠাতে হবে না। সরকারি স্কুলেই পাঠাবেন। এমন পরিকাঠামো বিজেপি তৈরি করে দেবে। আর ধর্ষকদের সকালে নেবে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জমা এবং খরচ করে দেবে।" এদিন বিরাটিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরু হতে না হতেই, বাগযুদ্ধের আঁচ একেবারে গনগনে। সোমবারই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য়ে SIR-এর কথা ঘোষণা করেন মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।