কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শেষমেশ গ্রেফতার হলেন 'কালীঘাটের কাকু' (Kalighater Kaku)ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আর তিনি গ্রেফতার হতেই ট্যুইটারে ফে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)  মা লতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Rujira Banerjee) উল্লেখ করলেন তিনি। 

মঙ্গলবার রাতে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তদন্তে অসহযোগিতা করায়, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই খবর সামনে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ট্যুইট করেন শুভেন্দু। তাতে তিনি লেখেন, 'শেষ পর্যন্ত আইনের লম্বা হাত মাস্টারমাইন্ড পর্যন্ত পৌঁছল। কেউ রেহাই পাবে না, মাথারাও জেলে যাবে, সময় হয়ে গিয়েছে'।

আরও পড়ুন: SSC Case: ‘সহযোগিতা করুন, শেষ সুযোগ দিচ্ছি’, ED-র সতর্কবাণীতেও অনড়! যে কারণে গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

ওই ট্যুইটেই 'কালীঘাটের কাকুর সহযোগীদের চিনে নিন' বলে লেখেন শুভেন্দু। তাতে 'LEAPS & BOUNDS PRIVATE LIMITED' নামের একটি সংস্থার ডিরেক্টরদের তালিকা বলে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন শুভেন্দু। সেই তালিকায় ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের। তালিকায় ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে সুজয়কৃষ্ণেরও। 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করল ইডি। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার।  তদন্তে অসহযোগিতা করার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি-সূত্রে খবর মিলছে। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য়-প্রমাণ হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর ।  এবিপি আনন্দে প্রথম বার গোপাল দলপতির মুখে 'কালীঘাটের কাকু'র উল্লেখ শোনা যায়। বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ বার বার তাঁর নাম করেই টাকা চাইতেন বলে জানান। এর পর তাপস মণ্ডলের মুখেও নাম শোনা যায় 'কালীঘাটের কাকু'র নাম। এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তদন্তকারীদের সামনে মেজাজও হারান 'কালীঘাটের কাকু' (Kalighater Kaku)। 

এর আগে, গত ২০ মে সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোন। বেশ কিছু ডিজিটাল নথিও উদ্ধার হয় বলে খবর। ঘুরপথে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সুজয়কৃষ্ণের মাধ্যমেই হাতবদল হয় বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। সেই নিয়ে লাগাতার জেরার পরও সুজয়কৃষ্ণ অসহযোগিতা করায়, তদন্তকারীরা দিল্লিতে যোগাযোগ করেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত নিতে। তার পরও গোয়েন্দারা বার বার তাঁকে সহযোগিতা করতে বলেন। শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এমন হুঁশিয়ারিও দেন তদন্তকারীর। তাতেও সুজয়কৃষ্ণ রাজি না হওয়াতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।