রাজা চট্টোপাধ্যায়, ময়নাগুড়ি (জলপাইগুড়ি) : পশ্চিমবঙ্গে (West bengal) ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের (post poll violence) অভিযোগে রাষ্ট্রপতির (President) দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি (BJP) প্রভাবিত আইনজীবীদের সংগঠন। আর একইদিনে ময়নাগুড়িকাণ্ডে নিহত নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছোল বিজেপি বিধায়কদের দল। শুক্রবার ময়নাগুড়ির নিহত নির্যাতিতার বাড়িতে যায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিধায়কদের দল। রাজ্য সরকার (west bengal government) এবং পুলিশের (police) ভূমিকা নিয়ে সরব হন তাঁরা। এই ঘটনাতেও সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মৃত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের আর্থিক সাহায্যও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
শুভেন্দুর দাবি, কুণালের পাল্টা
ময়নাগুড়ির মৃত নির্যাতিতার বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলার পরে সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু অধিকারী জানান, সিবিআই তদন্তের আবেদন করা উচিত পরিবারের। পরিবারকে বলেছি, আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। রাজ্যে পুলিশের তদন্তের ওপর যে আস্থা নেই সেটাও জানান তিনি। যার পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, শুভেন্দু অধিকারী গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। ও মানসিক হতাশায় ভুগছে। বাবার ছাতায় দিদির দয়ায় মানুষ।
কী ঘটেছিল ময়নাগুড়িতে
২৪ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়িতে ক্লাস এইটের ছাত্রীকে এক প্রতিবেশী যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপরই আদালত থেকে আগাম জামিন নেয় মূল অভিযুক্ত। পরিবারের অভিযোগ, ১৩ এপ্রিল মূল অভিযুক্তর সঙ্গীরা বাড়িতে এসে প্রাণনাশ ও ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপও দেয় তারা। অভিযোগ হুমকির পরদিনই, গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। তার শরীরের ৬৫ শতাংশই পুড়ে যায়। ২৫ এপ্রিল ভোরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে হাঁসখালিতে গণধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এবার ময়নাগুড়িতেও সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুর চড়াল বিজেপি।
আরও পড়ুন- হাঁসখালিকাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার করল সিবিআই