প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : হাঁসখালিকাণ্ডে (hanskhali case) আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। গ্রেফতার করা হল ধৃত মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালিকে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালি। তাঁকে ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে সমরেন্দ্র গয়ালির বন্ধু পীযূষ ভক্তকে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার।


গ্রেফতার সমরেন্দ্র গয়ালি


দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তথ্য-প্রমাণ লোপাট, তথ্যগোপন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সিবিআই তাদের গ্রেফতার করল। আগামীকাল তাদের আদালতে তোলা হবে। হাঁসখালিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালিকে। তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে একে একে একাধিক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালিকেও বার কয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ঘটনার দিনে তিনি ঠিক কোথায় ছিলেন। তিনি কিছু জানতেন কি না, এই ধরণের নানা প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সিবিআই তদন্তে সমরেন্দ্র গয়ালি যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। তারা মনে করছেন হাঁসখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত-র বাবা তথ্যগোপন করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টাও তাঁর তরফে করা হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। যার পরই এদিন সমরেন্দ্র গয়ালি ও তাঁর বন্ধু পীযূষ ভক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই।


কী ঘটেছিল হাঁসখালিতে


নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালির ছেলে ব্রজ গয়ালি। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়। যারপর কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে ঘটনার তদন্তভার তুলে দেয়।


আরও পড়ুন- কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের দামী ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ