কলকাতা: তৃণমূলের (TMC) ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতিতে (national working committee)ঠাঁই হয়নি বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo)। আর তা নিয়েই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় (Tathagata Roy)। বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ ট্যুইট করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ট্যুইটে তথাগত রায়  লিখেছেন, ‘আমার একটু দুঃখই হচ্ছে, ছেলেটাকে আমি ভালবাসতাম। এর থেকে একটা জিনিস প্রমাণ হয়, রাজনীতিতে ধৈর্য হারালে পতন হবেই। বোকাটা যদি একবার আমাকে জিজ্ঞেস করত!’ দলে যুব মোর্চার এক নেতার ট্যুইট রিট্যুইট করে এভাবে খোঁচা দিয়েছেন তথাগত রায়। 


ওয়ান পার্সন ওয়ান পোস্ট বিতর্ক, নবীন-প্রবীণ শিবিরে ফাটলের জল্পনা, তৃণমূল-আইপ্যাক বিচ্ছেদের গুঞ্জন।  এই আবহে শনিবার বৈঠকে বসে জাতীয় কর্মসমিতি গঠন করেছে তৃণমূল। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূলের জাতীয়স্তরের শীর্ষস্তরীয় সব পদ আপাতত অবলুপ্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থেকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি...এই ধরণের জাতীয় শীর্ষপদে আপাতত কেউ থাকছে না।বর্তমানে তৃণমূলের জাতীয়স্তরে একটাই পদ রইল। তা হল চেয়ারপার্সন। আর সেই পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নতুন কর্মসমিতির সদস্যদের মধ্যে কে কোন শীর্ষ পদ পাবেন তা ঠিক করবেন মমতা।


এর আগে বাবুল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তথাগত রায়ের সঙ্গে তাঁর ট্যুইট-যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তৃণমূল এদিন ২০ জনের যে জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অমিত মিত্র,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,অনুব্রত মণ্ডল,অরূপ বিশ্বাস,অসীমা পাত্র,বুলুচিক বরাইক,চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,সুব্রত বক্সী,পার্থ চট্টোপাধ্যায়,ফিরহাদ হাকিম,জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,কাকলি ঘোষদস্তিদার,গৌতম দেব,মলয় ঘটক,রাজেশ ত্রিপাঠী,শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়,যশবন্ত সিনহা। 


এই তালিকায় নাম নেই বাবুল সু্প্রিয়র। তা নিয়েই বাবুলকে খোঁচা দিয়েছেন তথাগত। উল্লেখ্য, বিজেপি ছেডে় বাবুলের তৃণমূল যোগদানের পর দুজনের মধ্যে ট্যুইট-যুদ্ধ দেখা দিয়েছিল।  টুইটারে বাবুল সুপ্রিয়কে সরাসরি ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে নিশানা করেছিলেন তথাগত রায়। এর জবাবে বাবুল টুইটে ট্যাগ করে ‘বিশ্বাসঘাতক’ শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। এরপর তথাগত ফের বাবুলকে জবাব দিয়েছিলেন।