রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : ফের প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপির (BJP) দ্বন্দ্ব । রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সভায় গরহাজির দলেরই বিধায়ক। মুর্শিদাবাদে বিজেপির জেলা কমিটির সভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। এনিয়ে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদে একটি বৈঠকে অংশ নেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু, সেখানে ছিলেন না দলের মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৬ বিজেপি কাউন্সিলর! বৈঠকে যোগ দিতে এসে সুকান্ত বলেন, "বিজেপি হাজার হাজার জনপ্রতিনিধি তৈরি করে, হাজার হাজার জনপ্রতিনিধি তুলে ফেলে দেয়। বিজেপিতে সংগঠনই মূল কথা। কে বিধায়ক, কে সাংসদ...বিজেপির কাছে সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।" এমনকী গৌরীশঙ্কর ঘোষের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটা তাঁর ব্যাপার।
আরও পড়ুন ; 'জেলে যেতে ভয় লাগে না’, সুকান্তর ‘হাকিম’-হুঁশিয়ারির জবাব ফিরহাদের
কী বলছেন বিজেপি বিধায়ক ?
এই ইস্যুতে পাল্টা গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলছেন, "ভারতের সর্বত্র জনপ্রতিনিধি তৈরি করতে হবে। যে জনপ্রতিনিধি দ্বারা আমরা গ্রাসরুটে যেসব মানুষ রয়েছে তাদের উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে ভারতকে শক্তিশালী করা যেতে পারে। সেই জায়গায় পৌঁছতে গেলে জনপ্রতিনিধি তৈরি করতে হবে। সেই জনপ্রতিনিধি তৈরি করা নয়, তাঁকে ধরে রাখা, আবার তাঁকে পুনরায় নির্বাচিত করা, সেইখান থেকে নতুন জনপ্রতিনিধি তৈরি করা। এগুলো করতে গেলে সংগঠন এবং জনপ্রতিনিধি উভয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। এর আগেই আমার বিধানসভা এলাকায় রাজ্য সভাপতি এসেছেন। আমার কাছে কোনও সূচনা ছিল না। আমার এখানে ছয় জন কাউন্সিলর , তাঁদের সূচনা দেননি। আমাদের এখানে কার্যালয় রয়েছে, সেই কার্যালয় বাদ দিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের যিনি মন্ত্রী ছিলেন, তাঁর বাড়িতে কার্যালয় খুলে গেছেন। সেই ঘটনারও আমাদের সূচনা দেওয়া হয়নি। তার প্রমাণ রয়েছে। রাজ্য সভাপতির যে কমিটি, তার সেক্রেটারি আমাকে করা হয়েছে। যখন আমরা জেলা সভাপতি হিসেবে দেখতাম, আমরা যে এলাকায় যেতাম, সেখানে জেলা কমিটির যিনি রয়েছেন তাঁকে সূচনা দিতাম।"
এদিকে, বৃহস্পতিবার বহরমপুরে দুর্নীতির প্রতিবাদে সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিলে দেখা যায়নি বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্রকেও। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে দলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের গোঁসা ভাঙানোই এখন গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।