আশাবুল হোসেন, কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের জায়গার অভাব দীর্ঘদিনের। প্রধান বিচারপতির আর্জিতে সাড়া দিয়ে, নব মহাকরণের ব্লক-বি ভবনটি বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে হস্তান্তর করল রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরাও। সেখানে কথা বলতে গিয়ে সাম্প্রতিক নানা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সত্য ঘটনা সাংবাদিকরা সামনে আনুন : মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিচার কখনও একপক্ষ হয় না, বিচার সবসময় নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যখন সবকিছুর প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তখন বিশ্বাস আসে বিচারব্যবস্থা থেকে।' সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী টেনে আনেন মিডিয়া ট্রায়ালের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ' সত্য ঘটনা সাংবাদিকরা সামনে আনুন।' তা যদি তাঁর বিরুদ্ধেও যায়, তিনি কিছু মনে করবেন না। তিনি জানান, মিডিয়া ট্রায়াল করে কাউকে বদনাম যেন করা না হয়। তাতে করে বিচার ব্যবস্থা প্রভাবিত হতে পারে। তাই তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বারবার করে বিচারব্যবস্থায় দোষী প্রমাণ করার আগে কারও বিরুদ্ধে ভুলতথ্য প্রচার করা ঠিক নয়।
শুভেন্দুর পাল্টা
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে ট্যুইটারে লেখেন, ' আদালতের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া কীভাবে চলবে তা, মাননীয় বিচারপতিদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। প্রশাসন তা অনুধাবন করতে পারবে, আশা করা যায় না। প্রশাসনের ছেলেমানুষি ও অজ্ঞতা, বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টার প্রেক্ষিত হতে পারে না।'
' ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সমালোচনায় সরব বিরোধীরা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন , তাই এসব বলছেন। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'দুর্নীতি দুটি প্রজন্মকে নষ্ট করে দিয়েছে। কে দুর্নীতি করেছেন, কার পকেটে টাকা গিয়েছে, তার থেকে বড় কথা কাদের পকেট থেকে টাকা গিয়েছে। অনেক চাকরিপ্রার্থীর জীবনে ৭ টি বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যখন দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে, তখন তো এসব নিয়ে চর্চা হবেই ! '