কলকাতা : বিধানসভায় (Assembly) সাসপেনশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের আদালতে বিজেপির ৭ বিধায়ক। হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ (Suvendu Adhikari) ৭ পদ্ম-বিধায়ক। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শুভেন্দু-সহ ৭ বিধায়ক নতুন করে আবেদন করুন। আবেদন গ্রহণ করবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। বিষয়টি বিধানসভাতেই সমাধান হয়ে যাবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ১৭ জুন। এদিকে এই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সাসপেন্ড করতে করতে যদি একজনও বিজেপি বিধায়ক থাকেন, সেই একজন পশ্চিমবঙ্গের জনতার কথা বলবেন।
বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশন -
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে গত মার্চ মাসে বিধানসভায় তুলকালাম বেধে যায় । তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে চলে হাতাহাতি। তাতে ভাঙে বিজেপি বিধায়কের চশমা । অধ্যক্ষের সামনেই সাদা পোশাকের পুলিশ এনে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অধ্যক্ষ মন্তব্য করেন, প্রতিদিন আপনারা শুধু চিত্কার আর ওয়াকআউট করছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষকে, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতোদের সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন ; রামপুরহাট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপি-তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতি, বিধানসভা থেকে ৫ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড
বিধানসভায় মনোজ টিগ্গার জামা ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ জানান, ‘চন্দনা বাউড়ি, তাপসী মণ্ডলকেও মেরেছে তৃণমূল’। সাদা পোশাকে পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষীদের প্রথমে হামলা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিল-ঘুষি-ধাক্কা মারার অভিযোগ জানান শুভেন্দু।
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবিতে আজ বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে শাসক দল। অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। ভোট পরবর্তী হিংসা ও রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আজ বিধানসভায় আলোচনার দাবি জানায় বিজেপি। তাদের দাবি, এই সমস্ত ইস্যুতে রাজ্য সরকার নীরব। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করে বিজেপি। সেইসময় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে পাল্টা সরব হন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। এরপরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি।