প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা : ৩ বছরে যদি ৩৮ শতাংশে পৌঁছতে পারি, তাহলে ৫ বছরে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে পারি। ত্রিপুরায় বসে এভাবেই বাংলার ভোট নিয়ে কার্যত লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিলেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। সরব হলেন ভোট পরবর্তী অশান্তির বিরুদ্ধেও। ২০২৪-এ বিজেপির আসন ৩০৩ থেকে ১০৩-এ নেমে আসবে। পাল্টা কটাক্ষ করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার।


সফর ত্রিপুরায় হলেও নজর রইল বাংলায়। কলকাতার বৈদিক ভিলেজে যখন চিন্তন শিবিরে ব্যস্ত বিজেপি  (BJP) রাজ্য নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ, সোমবার তখন পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলা বসে কার্যত বাংলার জন্য দলের টার্গেট বেঁধে দিলেন জে পি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে, বাংলায় ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে বিজেপি। উল্টোদিকে তৃণমূলের (TMC) খোঁচা, সংসদে বিজেপির আসন সংখ্যা ৩০৩ থেকে কমে ১০৩-এ নেমে যাবে।


'২৪ ভোটে ৪০% পার


বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, 'বাংলায় গত ৪ বছরে ৩%-38% বিজেপির ভোট মার্জিন বেড়েছে। রেকর্ড উত্থান। ৩ বছরে যদি ৩৮ শতাংশ পৌঁছয় তাহলে ৫ বছরেও ৪০ শতাংশ পার করতে পারব।' পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের খোঁচা, 'এই টাইম ফ্রেম আমরাও যদি বাঁধি, তাহলে বিজেপি যে ৩০৩ আসন পেয়েছিল, সেটা কমে ১০৩ হবে। মাথায় রাখতে হবে, ইন্দিরা গান্ধীকেও একসময় হারতে হয়েছে।'


বাংলার বিজেপির ভোট শতাংশ


২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি পেয়েছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষরা পেয়েছিলেন ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তা কমে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক এক তিন শতাংশে। যদিও, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোট আরও বাড়বে বলে দাবি জে পি নাড্ডার। ত্রিপুরায় বসেই বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।


ভোট পরবর্তী অশান্তি তরজা


জেপি নাড্ডা বলেছেন, 'আপনিও জানেন ভোট মিটতেই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের গুন্ডারা করেছে। ওখানকার বিরোধী দল বিজেপি। প্রতি ভোটে তৃণমূলের জনবিরোধী ইস্যু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়। আমরাই বঙ্গবাসীর কথা বলি।' গতকালই টিএমসিপি-র সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানান, 'গত ভোটে হুইচ চেয়ারে প্রচার করছি। প্রথমেই শুরু করেছে ভোট পরবর্তী হিংসা। আমাদের সরকার এসেছে ৫ তারিখে, আর ভোট পরবর্তী শেষ হয়ে গেল ৬ তারিখে। অথচ মানবাধিকার কয়েকজনকে নিয়ে এসে, ওরা সাধারণ নিরপেক্ষ হয়। সিবিআই-কে দিয়ে গ্রেফতার করেছে ও হেনস্থা করেছেন। আমরাও লিস্ট করে রাখছি কারা গ্রেফতার করছেন, কারা হেনস্থা করেছেন।'


আরও পড়ুন- 'এখনও আছিস? কত পেয়েছিস? টিপন্নি বন্ধুদের' দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক জহর সরকার