কলকাতা: প্রতি বছরের মতো এবারও পুজোয় অন্য রূপে পাওয়া গেল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kalyan Banerjee)। শ্রীরামপুরের (Sreerampur) RMS ময়দানে পাঁচ ও ছয়ের পল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজো মণ্ডপে সপ্তমীর সকালে নিজেই পুজোয় বসলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ। শ্রীভূমির (Sreebhumi) পুজোয় সপ্তমীর সকালে সঙ্কল্প করলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। 


শুধু তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বই নন। একই দমে পুজো উদযাপন বিজেপিরও। বৈষ্ণবঘাটা পাটুলিতে সকাল সকাল অঞ্জলি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এ দিকে আজই কলকাতায় এসেছেন জেপি নাড্ডা। অমিত শাহের পর এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। প্রথমে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের পুজোয় যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। শোভাবাজার রাজবাড়ির (Sovebazar) পুজোতেও যান জে পি নাড্ডা। শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে নিউ মার্কেট সর্বজনীনের পুজোয় যান নাড্ডা (JP Nadda)। 


আজ সপ্তমী৷ ভোরে গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে শুরু হল সপ্তমীর পুজো। আকাশে-বাতাসে শারদ-সপ্তমীর সুর। বেলা বাড়তেই মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীর ঢল।  


সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে শহর। উমা এলেন বাপের বাড়ি। সপরিবারের মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশ৷ সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী-লক্ষ্মী ও তাঁদের বাহনেরা। শনিবার সপ্তমী। আনুষ্ঠানিকভাবে এ দিনই পুজো শুরু। শুক্রবার হয়ে গেছে দেবীর আমন্ত্রণ এবং অধিবাস। 


সপ্তমীর সকাল থেকে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে শুরু হয় নবপত্রিকা স্নান। সর্বজনীন পুজোর উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ঘাটে ঘাটে ভিড় ছিল বিভিন্ন বনেদি বাড়ির। গঙ্গা স্নানের পর নবপত্রিকা নিয়ে যাওয়া হয় মণ্ডপে। কলকাতা থেকে জেলা, সব জায়গায় এক ছবি। ভোরে গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তারপর শাস্ত্রমতে ষোড়শ উপচারে শুরু সপ্তমীর পুজো।


চিরাচরিত রীতি এবং ঐতিহ্য মেনে সপ্তমীর মহাপুজো অনুষ্ঠিত হয় বেলুড় মঠে৷ ভোরে মঙ্গলারতি শেষে বিভিন্ন উপচার-সহ স্নানের পর নবপত্রিকাকে আনা হয় মণ্ডপে৷প্রতিমার চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শুরু হয় পুজো।                                                   


আরও পড়ুন: JP Nadda: হোর্ডিং খুলে দেওয়ার অভিযোগ, কলকাতায় নাড্ডার আসার আগেই শুরু বিতর্ক