কলকাতা: সন্দেশখালি থেকে অবিলম্বে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতায় বিজেপির মশাল মিছিল (BJP Protest ) । পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধেও উঠেছে প্রতিবাদ। সিমলা স্ট্রিট থেকে মিছিল করে হাতিবাগান পৌঁছে রাস্তা অবরোধ। 


সন্দেশখালির ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আইনজীবীরা। সন্দেশখালিতে মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এই অভিযোগ পেয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে। আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি পরিদর্শন করে রিপোর্ট তৈরি করবে এই কমিটি। এই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। 


সন্ত্রস্ত সন্দেশখালিতে জ্বলছে প্রতিরোধের আগুন। গন্ডগোল থামাতে এবার সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হল। গতকাল রাত সাড়ে ৯টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে বসিরহাট জেলা প্রশাসন। এর ফলে ওই সমস্ত এলাকায় কোনও জমায়েত করলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে। সকাল থেকে ধামাখালি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার রাস্তায় চলছে পুলিশের নাকা তল্লাশি। টোটোয় চড়ে মাইকেও প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। গোটা এলাকা পুলিশে ছয়লাপ।


মূলত সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে,জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের সদস্য ও সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুর পোলট্রি ফার্ম। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর মদের দোকান ও বাগানবাড়িতে। সেখানেও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন।  এক বিক্ষোভকারী বাসিন্দা জানিয়েছেন,  ঘর বাঁধা ছিল, সেই ঘর তুলে দিয়ে এই পোলট্রি ফার্ম করেছে। অপর এক বিক্ষোভকারী বাসিন্দা বলছেন, 'শিবু হাজরাকে চাই, শিবু হাজরাকে চাই, হাজরা এখানে আসুন, আমার ঘরদোর সব ভেঙে দিয়েছে। মদের দোকান করেছে লাইসেন্স করে, এই শিবু হাজরা, ওর সব জমি দখল করেছে। শিবু হাজরার জেল চাই, শাহজাহানের জেল চাই', সরব বিক্ষোভকারীর দল।


আরও পড়ুন, 'এলাকায় কাজ নেই..', পাঞ্জাবে মৃত্যু বঙ্গ সন্তানের, হাসপাতাল থেকে দেহ ফিরিয়ে সর্বস্বান্ত পরিবার


এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, প্রথমত এটা অনভিপ্রেত। গ্রামবাসীদের পুঞ্জিভূত যে ক্ষোভ, সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। বারো-তেরো বছরের অত্যাচারের জনরোষ প্রকাশ্যে এসেছে।' পাশপাশি কুণাল ঘোষ বলেন, 'কিছুই হয়নি , দুদিন বাদে সন্দেশখালি বলে কোনও ইস্যুই থাকবে না। কোনও ব্যাক্তির আচরণে গলদ থাকতে পারে। কোনও হয়তো ক্ষোভ ছিল। তো সেই সমস্যার জন্য বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস সাময়িক গণ্ডোগোলের চেষ্টা করেছে।সংযত ছিল তৃণমূল। সংযত ছিল পুলিশ বাহিনী। ফলে দুদিন বাদে দেখবেন এই সমস্যাগুলি নেই।