কলকাতা: বিজেপির 'যাদবপুর বাঁচাও' মিছিল। পথে বিজেপি যুবমোর্চা ও এবিভিপি। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এবিভিপির। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে আটক বেশ কয়েক জন এবিভিপি সমর্থক।জানা গিয়েছে, গোলপার্ক থেকে যাদবপুর এইট বি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল হবে। মিছিলের সামনের সারিতে উপস্থিত থাকার কথা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পালের।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংকাণ্ডের প্রতিবাদেই মিছিল
বিজেপির যুব মোর্চার তরফে এই মিছিলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংকাণ্ডের প্রতিবাদেই আজকের মিছিল। একই পথে মিছিলে সামিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিও। সম্প্রতি বিজেপির যুব মোর্চার সভার সভা থেকে হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরই যাদবপুরের এইটবি বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। ওই দিন ওই স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে।
কী হয়েছিল সেদিন যাদবপুরের ৪ নম্বর গেটের সামনে ?
এর পর যখন শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি ঘুরিয়ে যাদবপুর থানার দিকে এগোতে শুরু করেন, সেই সময় ৪ নম্বর গেটের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান বেশ কয়েকজন।এদিকে ওই মুহূর্তে শুভেন্দু-র কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল সেদিন। অশান্তি-র আবহেই হঠাৎ এই যুবকের সঙ্গে কয়েকজনের মারামারি বেঁধেছিল। বিজেপি এবং যুব মোর্চার সদস্যদের লাথি, ঘুষিতে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর নাক-মুখ ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন, ১ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, তবুও কেন কুণালকে গ্রেফতার করতে পারেনি ED ?
যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী
এই ঘটনার পরই, যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এফআইআরে তাঁর উপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনায় অতি-বাম নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। যাদবপুরের ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় হুঙ্কার দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ' আমরাও এখান থেকে এই তথাকথিত টুকরে টুকরে গ্যাং, দেশবিরোধী শক্তি, ইনকিলাবি নাড়া, চিন যাদের বাপ আর মা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার গার্জেন তাঁদেরকে তুলে ফেলব। এ দায়িত্ব আমাদের।'