কলকাতা: 'এই বিক্ষোভের পিছনে আসলে চক্রান্ত আছে। বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে। এই প্রকল্প আসলে এক ঐতিহাসিক ব্যাপার। যুব সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হচ্ছে'। অগ্নিপথ প্রকল্প প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের।


সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য মোদি সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে বিক্ষোভের ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তি ওয়ারাঙ্গলের বাসিন্দা। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ১৭ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে পুলিশ। গুলিতে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।


বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবীর বেতিয়ার বাড়িতে হামলা চালান চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভকারীরা। যদিও ঘটনার সময় রেণু দেবী পাটনায় ছিলেন। হামলায় বেতিয়ার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেণু দেবীর ছেলে। বিহারের সাসারামে পুলিশের দিকে বিক্ষোভকারীরা গুলি চালিয়েছে। গুলিতে শিবসাগর থানার এক পুলিশ কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। 


বিহারের দ্বারভাঙায় অবরোধ- বিক্ষোভে আটকে পড়ে স্কুল বাস। আতঙ্কে কাঁদতে শুরু করে পড়ুয়ারা। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গনায়া ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও অবরোধ, গন্ডগোল হয়েছে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে।  মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে অবরোধ হয়েছে রেল। বাংলার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে ট্রেন অবরোধ হয়। হরিয়ানায় বিক্ষোভ ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন।  


বিহারের আরা সহ বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।  আরার কুলহরিয়া স্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়।  এর জেরে আরা স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক ট্রেন। বেগুসরাই স্টেশনেও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ হয়েছে বক্সারের দুমরা স্টেশনে। সেখানে লাইনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্পে আপাতত নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে।