নদিয়া: ''আমার বিশ্বাস ২০২৪-এর ভোটের আগেই সিএএ কার্যকর হবে, সিএএ কার্যকর না হলে উদ্বাস্তুদের মনের ক্ষোভ আটকে রাখা যাবে না, ২০২৪-এর আগে সিএএ কার্যকর না হলে বিজেপির ক্ষতি হবে, কতটা ক্ষতি হবে, লিখিত আকারে অমিত শাহকে জানিয়েছি, আমি বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে যেতে পারব না''। সিএএ ইস্যুতে এবার বিস্ফোরক হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার।


কী বললেন অসীম সরকার?


তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ''সিএএ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। এটা ২০২২ সাল। বিজেপি ছাড়া সিএএ-র সমর্থন কেউ করেনি। সব দলই বিরোধ করেছে এই সিএএর। সময়টা কিন্তু অনেকটা। আগামী ভােট ২০২৪ সালে। অর্থাৎ ততদিনে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে তার আগে সিএএ কার্যকর না হলে খুবই সমস্যা হবে। আমি শুধু একাই নয়। বিজেপির হয়ে তখন কেউই উদ্বাস্তুদের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবে না। চব্বিশের ভোটের আগে যদি সিএএ কার্যকর না হয়, তবে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে পশ্চিমবঙ্গে একটা দুর্ভাগ্য।''


পাল্টা প্রতিক্রিয়া শমীক ভট্টাচার্যের


যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপত্র শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ''উনি একটু নিজের আবেগের থেকে বলে ফেলেছেন। অসীম সরকার যে অঞ্চলের থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জিতে এসেছেন। সেই অঞ্চলের মানুষের কাছে আমরা প্রতিজ্ঞবদ্ধ ছিলাম যে আমরা সিএএ, এনআরসি লাঘু করব। এছাড়া সাম্প্রতিক সময় সেই অঞ্চলে যেভাবে সাধারণ মানুষকে মারধর করা হয়েছে। দোকানপাট চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরও পুলিশ কিছু ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ওঁনার আবেগটাও বোঝা দরকার।''


উল্লেখ্য, গত মাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই সিএএ বাতিলের দাবি তুলেছেন অধীর। চিঠিতে পাকিস্তান থেকে আসা ৮০০ হিন্দুর উল্লেখ করেছেন তিনি। অধীর জানিয়েছেন, ভারতের নাগরিকত্ব না পেয়ে পাকিস্তান ফিরে যেতে হয়েছে ৮০০ হিন্দুকে। সিএএ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক, ত্রুটিযুক্ত, তার জন্যই বিগত দু'ছরে তা কার্যকর সম্ভব হয়নি বলেও অভিযোগ করেন অধীর।


আরও পড়ুন: 'চক্রান্ত করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে,' অগ্নিপথ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের