কলকাতা : কলকাতায় এসে নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন বঙ্গ বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। এদিন প্রথমে কলেজ স্ট্রিটের কাছে কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে বিজেপি কর্মী সুবোধ দাসের বাড়িতে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। হাত ভাঙা বিজেপি কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। পরে বেলেঘাটায় আহত বিজেপি কর্মী রীতা রজকের বাড়িতে যান তিনি। এরপর যান শ্যামবাজারে এক কর্মীর বাড়িতেও। যান আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতেও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক।


নবান্ন অভিযান-উত্তাপ-


গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গার দু’পাড়। গঙ্গার পূর্ব পাড়ের কলকাতা থেকে পশ্চিম পাড়ের হাওড়া, বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে কার্যত যুদ্ধের সাক্ষী থাকে দুই প্রাচীন শহর। হাওড়ার সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া ব্রিজে ব্যারিকেড করে পুলিশ নবান্নমুখী বিজেপির মিছিল আটকালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আহত হন বিজেপি-কাউন্সিলর-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit)। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


আরও পড়ুন ; "মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর কথায় ক্ষমতার দম্ভ", অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যকে হাতিয়ার বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের


আহত হন পুলিশ কর্মীরাও। ইট, কাঁচের বোতল ছোড়া থেকে, বাঁশ-লাঠি নিয়ে দৌড়ানো, লালবাজারের অদূরে পুলিশের গাড়িতে আগুন। পাল্টা পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠিচার্জ, নবান্ন অভিযানে বাদ যায়নি কিছুই। অভিযানের শুরুতেই আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের। বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেনের সামনেও উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সকাল থেকে শুরু হয়ে কার্যত সন্ধে অবধি পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। আর এই অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। পুলিশের শাস্তির দাবি করা হয়। বিজেপির দিল্লি দফতর থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তি দাবি করা হয়। পাশাপাশি, ঘটনার অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় দল গঠন করেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।


সেইমতো পাঁচজনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে রাজ্যে আসে। ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজ লাল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, সাংসদ ও প্রাক্তন আইএএস অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, প্রাক্তন সাংসদ সুনীল জাখর ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওঁরাও। গতকাল তাঁরা প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতে যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। এরপর হেয়ার স্ট্রিট থানায় যায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আজই নাড্ডাকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ।