কলকাতা : ক্যামাক স্ট্রিট থেকে টেট চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। ‘হরিদাস ভাইপো চাকরি প্রার্থীদের ডেকে পিছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে’, ‘এটাই ভাইপো’, ট্যুইট করে মন্তব্য বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁর। প্রসঙ্গত, SSC’র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে আশ্বাস দিলেও, চ্যাংদোলা করে, টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়া হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে অবস্থানে বসা ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণদের।  কেন এক যাত্রায় পৃথক ফল? এই প্রশ্নে শাসকদলকে তীব্র নিশানা করেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি রাজনীতির পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪’র প্রাইমারি টেটে, দুর্নীতির মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।


টেট উত্তীর্ণদের বলপূর্বক সরাল পুলিশ


চ্যাংদোলা করে, কাউকে আবার টেনে হিঁচড়ে টেট উত্তীর্ণ বিক্ষোভকারীদের এদিন সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে থেকে সরায় পুলিশ। পুলিশকর্মীর পা ধরে ঝুলে পড়লেও মেলেনি ছাড়। রাস্তায় অবস্থানে বসা মহিলাদেরও টেনে-হিঁচড়ে তোলা হয়। আবার কোনও পুলিশকর্মী হবু শিক্ষকের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন। কী মহিলা, কী পুরুষ, সকলকেই ঠেলে, ধাক্কা মেরে তোলা হয় গাড়িতে। 


কলকাতার ডেপুটি কমিশনার সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। অবস্থানরত টেট উত্তীর্ণদের প্রথমে উঠে যেতে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু অবস্থানে অনড় থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন ডিসি সাউথ। এরপরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ! চ্যাংদোলা করে, টেনে হিঁচড়ে, ধাক্কা মেরে সবাইকে তুলে দেওয়া হয়।



একযোগে আক্রমণ বিরোধীদের 


SSC’র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠকের পরের দিন টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়া হল টেট উত্তীর্ণদের। যা নিয়ে একযোগে আক্রমণ বিরোধীদের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'পুলিশ দিয়ে সরকার চলছে। হকের লড়াই করছে চাকরি প্রার্থীরা। তাদের সঙ্গে এই আচরণ ঠিক নয়।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কথায়, 'এর আগেও তো মুখ্যমন্ত্রীও বৈঠকে বসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যেটা পারলেন না, সেটা অভিষেক করে দেখাবেন। চাকরিপ্রার্থীদের ওপর লাঠি চালাল, ভাবা যায় না। লোক দেখানো মিটিং করছে আবার লাঠিও চালাচ্ছে।'


আরও পড়ুন- 'অপা' অর্পিতারই, শান্তিনিকেতনের বাড়ির মালিকানা পার্থ ঘনিষ্ঠেরই, একসঙ্গে কিনেছিলেন জমি?