ভাস্কর ঘোষ, বালি (হাওড়া) : নেশামুক্তি কেন্দ্রের আড়ালে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ। হাওড়ার (Howrah) বালির নিশ্চিন্দা এলাকায় রিহ্যাব সেন্টারের সামনে স্থানীয়দের বিক্ষোভ। মালিককে না পেয়ে সংস্থার কর্মীকে পুলিশের (Police) সামনেই মারধর। পলাতক রিহ্যাব সেন্টারের মালিক ও অন্য কর্মীরা।
ঠিক কী হয়েছে
পুলিশের সামনেই চড়, কিল, ঘুষি। লণ্ডভণ্ড চতুর্দিক। রিহ্যাব সেন্টারের গেট আটকে স্থানীয়দের বিক্ষোভ। নেশামুক্তি কেন্দ্রের আড়ালে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগে তুলকালামকাণ্ড বাধল হাওড়ার বালির নিশ্চিন্দা এলাকায়। অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ সামনে আনেন খোদ নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিকের স্ত্রী। ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার, রিহ্যাব সেন্টারের সামনে চড়াও হন স্থানীয়রা। মালিককে না পেয়ে সেখানকার এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
কী অভিযোগ
অভিযোগকারীর বলেছেন, '৪ মাস ধরে যোগাযোগ রাখে না। এখানে একটা মেয়ে আসে তার সাথে সম্পর্ক।' এদিন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন আবাসিকরাও। এক আবাসিকের দাবি, 'কুকুরের পটি খাওয়া হয়। কোমড চেটে চেটে পরিষ্কার করানো। পেপার ওয়েট দিয়ে মারা হত। ডাস্টবিনের খাবার খেতে হয়।'
পুলিশি পদক্ষেপ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদীপ বল বলেছেন, 'অনেকদিন ধরেই অভিযোগ পাচ্ছি।' এদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতক রিহ্যাব সেন্টারের মালিক ও অন্যদের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যেই বাড়ি পাঠানো হয়েছে ১৪জন আবাসিককে।
আরও পড়ুন- অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে, মৃত্যু সন্তানের
কয়েক মাস আগেই নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল বেলঘরিয়ায় (Belgharia News)। পরিবারের অভিযোগ ছিল, পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওই যুবককে। তাতে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের ঘটনাটি (Death in Rehab) ঘটেছিল। ওই যুবক আদলে বাগুইআটির হাতিয়াড়ার বাসিন্দা। বয়স ছিল ২৫ বছর।