কলকাতা: দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগ তুলে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।  আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার পাল্টা দিলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। 


এদিন তিনি বলেন, "বিধানসভায় বিধায়কদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখছেন। যে সময় চিঠি লিখলেন, সেই সময় রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মুক্ত কণ্ঠের বিরোধিতা করেছে। এটাই প্রমাণ হল, তৃণমূল আইনি প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে। বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে আন্দোলনের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের অধিকারে বিশ্বাস করে না তৃণমূল। এখন তৃণমূল মারছে, তৃণমূলের কর্মীরা মারা যাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বোমা বিস্ফোরণ। ভাগ করে খাওয়ার রাজনীতির পরিণাম রামপুরহাটকাণ্ড’।                                       


এদিকে, মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতা থেকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি।                                      


আরও পড়ুন, কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী-শ্যালিকাকে ইডির তলব


চিঠিতে মমতা আরও বলেন, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা যেমন, ED, CBI, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (CVC) এবং আয়কর দফতরকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নিশানা, হয়রানি ও কোণঠাসা করার জন্য। 


সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের ওয়াকআউট সত্ত্বেও, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ (সংশোধনী) বিল ২০২১, CVC সংশোধনী বিল ২০২১ পাস করানো হয়েছে।  এই সব আইনের বলে ED, CBI-এর অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানোর অধিকার পেয়েছে কেন্দ্র। যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধী।