কলকাতা: হলিউড থেকে বলিউড। টাইটানিক থেকে রাজেশ খন্নার কাটি পতং। কিংবা শাহরুখের 'ইয়েস বস'। অথবা স্বর্ণযুগের বাংলা সিনেমা রাজকুমারী থেকে জয়জয়ন্তী। আরও অসংখ্য সিনেমায়, গানে ব্যবহৃত হয়েছে এই বাদ্যযন্ত্র। সিনেমার দৌলতেই প্রায় ঘরে ঘরে বহুদিন ধরেই পরিচিত পিয়ানো। এই বিশেষ বাদ্যযন্ত্রটির জন্যও রয়েছে একটি বিশেষ দিন। আজ ২৯ মার্চ, বিশ্ব পিয়ানো দিবস (World Piano Day)। পিয়ানো নিয়ে নানা আলোচনা শিবির, পিয়ানোর শেখার উৎসাহ বৃদ্ধি করা হয় এই দিন। গানে-সুরে পিয়ানো ব্যবহারের আরও নানা আঙ্গিক নিয়ে নানা আলোচনা চলে এদিন।
কেন বাছাই এই দিনটি?
পিয়ানোতে সাধারণত ৮৮টি key থাকে। সেই কারণে বছরের ৮৮তম দিনটিতে বিশ্ব পিয়ানো দিবস উদযাপন করা হয়। এই বছর দিনটি পড়েছে ২৯ মার্চ।
কবে শুরু:
২০১৫ সালে শুরু হয়েছে বিশ্ব পিয়ানো দিবস উদযাপন। জার্মান সঙ্গীতশিল্পী নিলস ফ্রাম (Nils Frahm) এই দিনটির উদযাপনের সূচনা করেন।
পিয়ানোর ইতিহাস:
কয়েক শতক ধরে বিবর্তিত হয়েছে পিয়ানো। ১৭০০ সালে ইতালিতে একটি বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয়। নাম ছিল হার্পসিকড (Harpsichord)। ওই যন্ত্রের আবিষ্কারক ছিলেন ইতালির এক সঙ্গীতশিল্পী বার্তেলোমিউ ক্রিস্টোফারি (Bartolomeo Cristofori)। ধীরে ধীরে চেহারা বদল হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মোটামুটি ১৮০০ শতকের শেষদিক থেকে আধুনিক পিয়ানোর চেহারা সামনে আসে। যা এখন আরও উন্নত হয়েছে।
পিয়ানোর খুঁটিনাটি:
কি-বোর্ডের উপর নির্ভর করে মূলত তিনভাগে ভাগ করা যায় পিয়ানো। ৬৬, ৭২ এবং ৮৮-এই তিনটি আলাদা আলাদা key-এর পিয়ানো রয়েছে। এর মধ্যে ৮৮টি কি-বোর্ডের পিয়ানো ক্লাসিকাল পিয়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
২০১৫ সালে শুরু থেকেই প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই বিশেষ দিনটি। বিভিন্ন দেশে নানাভাবে উদযাপন হয় দিনটি। একাধিক কনসার্ট বা গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: গোঁফের তৈরি স্যুট! ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডে ঝড় তুলল এই ড্রেস, নাম উঠল গিনেসেও