কলকাতা: দিল্লিতে (Delhi) বেসরকারি সংস্থার তরফে একই মঞ্চে পুরস্কৃত বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বহরমপুরের (Berhampore) কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। 


গতকাল পুরস্কার পাওয়ার পর আজ কলকাতায় ফিরলেন সুকান্ত মজুমদার। এদিকে, এই পুরস্কার নিয়ে ফের আঁতাঁতের অভিযোগে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।


২০১৯ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। সাংসদ হয়ে এই পুরস্কার পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তিনি। এদিন তিনি বলেন, 'মাননীয় মোদিজি শিখিয়েছেন জীবনে যে কাজটা করবেন মন দিয়ে করবেন। সবসময়ই চেষ্টা করেছি নিজের এলাকার, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কথা, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা রাষ্ট্রের সামনে অর্থাৎ লোকসভার সামনে তুলে ধরা। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে কথা বলা। সেটাই করেছি। এপিজি আব্দুল কালামের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা এই পরিশ্রমকে সম্মান জানিয়েছে। এই সম্মান কেবল আমার একার নয়। ভারতীয় জনতা পার্টির সকল কর্মী সমর্থকদেরও। আমার লোকসভার সকল নাগরিকদের পুরস্কার।'                                                                         


সুকান্ত এও বলেন, 'বাংলা থেকে আমরা দু'জন এই পুরস্কার পেয়েছি। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিরোধী দলনেতা। ওঁর বলার জায়গায়ও অনেক বেশি। আমি প্রথমবার সাংসদ হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছি। গতবারও আমার কাছে মেল এসেছিল। সে বার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারিনি। না হলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই পুরস্কার পাওয়া হত।'                                    


আরও পড়ুন, বাঘের সংখ্যা বাড়ল সুন্দরবনে! খাদ্য সঙ্কট এড়াতে ১০০ হরিণ ছাড়ার সিদ্ধান্ত


এদিকে, এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন জায়গাতেই এঁদের সহাবস্থান দেখা যাচ্ছে। বাংলায় রাজ্য বিজেপি, রাজ্য সিপিএম এবং রাজ্য কংগ্রেস এরা একদম মাখোমাখো হয়ে আছে। এরা যেখানে পারছে কখনও গোপনে চুপি চুপি, কখনও বিয়েবাড়িতে, পুরস্কার মঞ্চে এরা কাছাকাছি। এসব করে কিছু হবে না। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছে।'