কলকাতা : 'অসুস্থতার' জেরে শনিবার সিবিআই (CBI) নোটিসের পরও হাজিরা দিতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রতকে ষষ্ঠবার গরুপাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) সনম পাঠালেও গড়হাজিরই থাকলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি। আর ফের একবার সিবিআই হাজিরায় অনুব্রত হাজির হতে না পারা নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতির খোঁচা, 'একবার গেলেই ভয় কেটে যাবে, তখন বারবার যেতে ইচ্ছে করবে।' অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধী দলও।


অনুব্রতকে খোঁচা সুকান্তের


সিবিআই হাজি এড়ানো প্রসঙ্গে অনুব্রতকে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমার মনে হয় ওনার যাওয়া উচিত। বিভিন্ন অজুহাতে উডবার্নে ভর্তি হচ্ছেন, আর সেটা নিয়ে লোকে হাসহাসি করছে। বলাবলি করছে। এসব ওনারও মান-সম্মানে লাগে বলে মনে হয়। কত আর অছিলা দেবেন। অছিলা ছেড়ে এবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়া উচিত। কতটা উনি পেয়েছেন, কতটা ওপরে ট্রান্সফার করেছেন, সেসব সিবিআইকে বলে দিলেই মিটে যায়। একবার গেলেই ভয় কেটে যাবে, তখন বারবার যেতে ইচ্ছা করবে।'


আরও পড়ন-"কাপুরুষ, হিম্মত নেই সিবিআই দফতরে যাওয়ার", অনুব্রতকে তোপ অধীরের


সিবিআইকে-মেল অনুব্রত-র


এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গরুপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সিবিআই। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ তলব করে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে হাজির হতে বলা হয়। গরুপাচার মামলায় হাজিরার ৪ মিনিট আগে সিবিআই-কে ই-মেল পাঠানো হয় অনুব্রত মণ্ডলের তরফে। পাঠানো হয় তাঁর শারীরিক অবস্থার বিভিন্ন রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, সেই সমস্ত মেডিক্যাল তথ্য খতিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে সপ্তম নোটিস পাঠানো হয় নাকি তাঁর জানানো চার সপ্তাহ সময়সীমা অপেক্ষা করা হয় সিবিআইয়ের তরফে, সেটাই দেখার। আপাতত অনুব্রতর আইনজীবীর পাঠানো ই-মেল দিল্লিতে ফরওয়ার্ড সিবিআইয়ের।


অনুব্রতকে সিবিআইয়ের জোড়া নোটিস



শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচারকাণ্ডে হাজির হতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এদিনই বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলে ষষ্টবার নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী যখন তাঁর চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরোন সেই সময়ই সেখানে হাজির হন সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক। সূত্রের খবর, দিয়ে আসা হয় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় হাজিরার নোটিস।

 



এসএসকেএমে অনুব্রত


প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তার আগের দিন বোলপুর থেকে কলকাতায় চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে আসেন অনুব্রত। গরু পাচারকাণ্ডে ৬ এপ্রিল তাঁর সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। সেদিন সকালে অসুস্থ বোধ করায় অবশ্য নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরার বদলে সোজা এসএসকেএমে পৌঁছন তিনি। ১৭ দিন পর গতকাল তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।