কলকাতা : গরুপাচার মামলায় আজ সিবিআই দফতরে গেলেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এনিয়ে ৬ বার সিবিআই (CBI) অফিসে হাজির হলেন না অনুব্রত মণ্ডল। এনিয়ে এবার তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষ বিরোধীদের। "ওঁরা কাপুরুষ। হিম্মত নেই সিবিআই দফতরে যাওয়ার।" এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।


তিনি বলেন, "অপরাধ করলে ভয় আরও বাড়ে। মনে করছেন, সিবিআই দফতরে গেলে হয়তো বিপদ বাড়বে। তাই তাঁদের সিবিআই দফতরে যাওয়ার হিম্মত হচ্ছে না। তাঁরা কাপুরুষ। হিম্মত নেই সিবিআই দফতরে যাওয়ার। তাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এটা এক ধরনের পালিয়ে বেড়ানো। নানা রকম অজুহাত দিয়ে পালিয়ে বেড়ানো। নিজেরাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন, অপরাধী। দলের যেমন শিক্ষা তেমন তাঁরা চলেন।"


আরও পড়ুন ; ‘অসুস্থতার জন্য যেতে পারছি না, হাঁটাচলা করতে পারছি না’ সিবিআই-কে ই-মেল অনুব্রতর


"অসুস্থতার জন্য যেতে পারছি না, হাঁটাচলা করতে পারছি না। চিকিত্‍সকরা ৪ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে বলেছেন।" সিবিআই-কে ই-মেল করে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় শনিবার সিবিআই দফতরে তলবে গরহাজির থাকা নিয়ে ই-মেল মারফত জানান তৃণমূল নেতা। এনিয়ে ৬ বার সিবিআই অফিসে হাজির হলেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতকে সপ্তমবার নোটিস দেওয়া হবে কি না ভাবছে সিবিআই, খবর সূত্রের।


এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গরুপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সিবিআই। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ তলব করে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে হাজির হতে বলা হয়। হাজিরার নির্ধারিত সময়ের পেরিয়ে যাওয়ার প্রায় ৪৫ মিনিট পরে সিবিআই আধিকারিকদের ই-মেল পাঠানো হয় অনুব্রত মণ্ডলের তরফে। এপ্রসঙ্গে তোপ দাগেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।


তিনি বলেন, "এত ভয় পাচ্ছেন কেন ? ধরা পড়ে যাবেন বলে ? নাকি নবান্ন ধরা পড়ে যাবে বলে। এত ভয়ের তো কোনও কারণ ছিল না। ওঁকে সত্যিই ডেকে থাকলে যাবেন, যদি আপরাধ থাকে জেলে যাবেন। অপরাধের শাস্তি হবে। আর দশ জনের ক্ষেত্রে যেমন হয়, তেমন হবে। এটা কী হচ্ছে ? একবার সিঙ্গল-একবার ডিভিশন বেঞ্চ, তারপর শেষমেশ এসএসকেএম উডবার্ন ওয়ার্ড, তারপর শেষমেশ এখন নাকি আবার একমাস। লোকে কী বলবে ? কেউ জানে না ? গরুপাচার, কয়লাপাচার, বগটুই, বেআইনি সম্পদ, পুলিশকে বোমা মারা...গুণের তো কোনও শেষ নেই। বিরোধীদের আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া। এত গুণে গুণান্বিত। এর পরেও কি তিনি প্রশ্রয় পাবেন, আশ্রয় পাবেন ? অপরাধ আর অপরাধী একেবারে একাকার হয়ে যাচ্ছে। নবান্ন কিন্তু আস্তে আস্তে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। সিবিআই তো আর দশটা ক্ষেত্রে পারে, এক্ষেত্রে পারছে না কেন ? মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে যেমন রাজীব কুমার ম্যানেজ করেছেন, হয় ম্যানেজ করুন। আর সিবিআই সত্যিই তো এর আগে বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করেছে। চিদম্বরমকে। সিবিআই সিবিআইয়ের কাজ করবে। অপরাধের সীমা থাকছে না। অপরাধী সমস্ত প্রশ্রয় পাচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্রয় দিয়ে নবান্ন অপরাধে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে।"