কলকাতা : ডিসেম্বর ডেডলাইন নিয়ে ফের হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার করব না, ভোটে জিতে সরকার করব’। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, 'ডিসেম্বরে রাজ্যের সবথেকে বড় চোর ধরা পড়বে।' দু’দিন আগেই ছবি-বিতর্ক উস্কে দিয়েও, তদন্তের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফের একবার নাম উহ্য রেখে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা।
সারদা-হুঁশিয়ারি
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'অপেক্ষা করুন, অপেক্ষা করুন। ছবি আসছে, ছবি আসছে। শুধু ভাতিজা নয়, সঙ্গে বুয়াকেও যেতে হবে। এ তো সবে সকাল, এ তো সবে সকাল। ছবি কেনাটা তো আসছে। সঞ্জয় বুধিয়া, হর্ষ নেওটিয়া, সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডু কার ছবি কিনেছিলেন? লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ছবি? ভেবেছেন সারদা পুরনো হয়ে গেছে না?' পাশাপাশি ফের একবার বড় চোর ধরা পড়ার কথা বললেন তিনি। সঙ্গে ভোটে জিতে সরকার করার দাবিও জানালেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেছেন, 'আমরা জোর করে সরকার ফেলার পক্ষপাতী নই, বাংলায় বিজেপি বাংলার মানুষের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আসবে। যদি এ সরকার পড়েও যায়, তাহলেও আমরা মানুষের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আসব'।
কী হবে ডিসেম্বরে ?
ডিসেম্বর আসতে আর মেরেকেটে সাতদিন। তারপর ৩১ দিনের ডিসেম্বর। আর ডিসেম্বরের শীতেই রাজনৈতিক দাবানলের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু অধিকারী! যদিও, গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যের শাসদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব ব্যাকডোর পলিটিক্স করছেন। অন্য কুৎসা করছেন। বঙ্গভঙ্গ করতে চাইছেন। আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন। বিজেপি ভাঙতে চাইছে। নিয়মিত ভাঙতে চাইছে। মানুষ বিজেপিকে দেখলেই প্রশ্ন করুক, কেন বাংলাকে ভাগ করতে চাইছ? এদের পুরোদস্তুর বয়কট করুক। আমরা মানুষের পাশে থাকব।'
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও নাম না করে কটাক্ষ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'কুটুস কুটুস করে লাগায়। চিঠি দেয় টাকা না দেওয়ার জন্য। আর কেন্দ্রেও একটা সরকার হয়েছে, এরা সরকার টু সরকার না করে দলের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেয়।' তাহলে কি বর্ষশেষেই কি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন শুরু কিংবা শেষের সম্ভাবনা?