সুনীত হালদার, হাওড়া : ফের হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) মাথায় উঠে পড়লেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। ঘটনার জেরে হাওড়া স্টেশন চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ওই যুবককে নামানো সম্ভব হয়। ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে ব্রিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিকেল তখন ৪টে। আর পাঁচটা দিনের মতোই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন। ঠিক সেই সময় ব্রিজের একেবারে মাথায় দেখা যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে। কলকাতার দিক থেকে হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে পড়েন তিনি। এরপর হেঁটে আসেন হাওড়ার দিকে। তাঁর পরনে ছিল না কোনও পোশাক। ওপর থেকে হাত নেড়ে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। মাঝেমধ্যে হাত জোড় করে নমস্কারও করছিলেন।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা (Police Officials)। আসেন দকমল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে কর্মীরাও। কৌতূহলবশত বহু মানুষ ভিড় জমিয়ে দেন ব্রিজের আশপাশে। ফলে, ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর গোলাবাড়ি থানার পুলিশ, দমকল কর্মী এবং কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের কর্মীদের সাহায্যে হাওড়ার দিক থেকে তাঁকে নামানো হয়। তবে, এই ঘটনার পর ফের হাওড়া ব্রিজের নিরাপত্তা ও পুলিশ নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের নাম সাধি কুমার। বয়স ২২ বছর। বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। উদ্ধারের পর তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হবে। কীভাবে এবং কেন বিহার থেকে এখানে তিনি চলে এলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যোগাযোগ করার চেষ্টা হচ্ছে তার পরিবারে সঙ্গে।
একই রকম ঘটনা আগেও-
গত জুলাই মাসেও এক যুবক উঠে পড়েছিলেন হাওড়া ব্রিজের মাথায়। কে তিনি, কেন এমন করলেন, সেটা বোঝার আগেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। দ্রুত খবর যায় পুলিশ ও দমকলের কাছে। হাওড়া দমকল অফিসার তপন কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল হাওড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছে যান। অবশেষে দীর্ঘ সাধ্যসাধনার পর তাঁকে ব্রিজ থেকে নামানো হয়। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় ১:৩০ টা। পুলিশ জানায়, যুবকের নাম মহম্মদ হাবিব। ২২ বছর বয়সী মহম্মদ আদতে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা। এমনিতেই তিনি ভবঘুরে বলে দাবি করে প্রশাসন। মানসিক দিক থেকেও কিছু সমস্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁকে ব্রিজের মাথা থেকে নামানো অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল। তবে নির্বিঘ্নে মহম্মদকে নামিয়ে আনতে পেরে স্বস্তির শ্বাস ফেলে প্রশাসনও।
আরও পড়ুন ; মাঝ রাতে ব্রিজের মাথায় উনি কে, হইচই...তার পর