সৌভিক মজুমদার, প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: এবার CBI তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করল, নিহত বিজেপি কর্মী (BJP) অভিজিৎ সরকারের (Abhijit Sarkar) পরিবার। মূল অভিযুক্তদের না ধরেই ট্রায়াল শুরু করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই অভিযোগে ট্রায়ালে স্থগিতাদেশ চেয়ে, হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করল অভিজিতের পরিবার। CBI-কে কেস ডায়ারি পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের। 


নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিত্‍ সরকারের কথায়, CBI বলুক যে, পরেশ পালের বিরুদ্ধে এবং বাকি যারা পালিয়ে আছে তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিল কোর্টকে জানাক। একদিন যাঁরা CBI তদন্তের দাবি তুলেছিলেন, সেই নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পরিবারই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল। মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই অভিযোগে,নিম্ন আদালতের নির্দেশে CBI যে ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে, তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার।  


নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিত্‍ সরকারের কথায়, যেমন পরেশ পাল, আমার লেটার অফ কমপ্লেনে নাম আছে। পুলিশ ও সিবিআইয়ের কাছে 161-ও তাদের নাম দিয়েছি। সেই আসামীরা যদি বাইরে ঘুরে বেড়ায় আর আমি কোর্টে সাক্ষী দেব, এটা কীরকম ব্যপার? হাইকোর্টকে বলেছি, খুনিরা ঘুরে বেড়াবে, অথচ অন্য খুনিদের বিরুদ্ধে আমি কোর্টে সাক্ষী দেব, এটা হতে পারে না।


২ মে, ভোটের ফল ঘোষণার দিন, কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও অধরা বহু। তাঁদের মধ্যে ফেরার পাঁচ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, ফেরারদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে, মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে CBI-কে ৩ মার্চ চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। 


কিন্তু নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রাঘববোয়ালরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই ট্রায়ালের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের আইনজীবী ভিকটিম অনেকের নাম বলে গেছিলেন। ঘুরে বেড়াচ্ছে। ট্রায়াল হবে কীভাবে? হাইকোর্টে মামলা করেছি, যাতে সঠিক ট্রায়াল হয়। আসামী ধরা পড়ুক, তারপর ট্রায়াল হোক। লোয়ার কোর্টে পজ চাইছি। অভিজিতের পরিবারের পিটিশনের প্রেক্ষিতে, CBI-কে ১ মার্চ, কেস ডায়েরি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।