কলকাতা: RG কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Doctor Death Protest) বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (BJP)। তাদের এই অভিযান আটকানোর জন্য ধর্মতলায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে। সেখানে গেরুয়া শিবিরের মিছিল আটকে যাওয়ার পরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এর জেরে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের তুমুল ধস্তাধস্তি হয়। ফলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে। তীব্র যানজট ছড়ায়। পরে প্রচুর পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এখনও গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের দিন বিকেল থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিজেপি। সেদিন তাদের লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ধর্মতলায় টানা সাতদিন ধর্না করে গেরুয়া শিবির। জেলায় জেলায় থানা ও পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
এরপর মানিকতলায় ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তার অফিসে অভিযান করে বিজেপি। তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মৃত পরিবারকে টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ জানায়। তাই তাঁর ইস্তফার দাবিতে ওই অভিযান হয়েছিল। সেদিনও পুলিশ বিজেপির মিছিল আটকানোয় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ফের কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রলের অফিসে তাদের অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। আইটি সেলে প্রধান অমিত মালব্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। টুইট করে আক্রমণ করেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।