কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। সেই আবহেই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের নামের তালিকা চাইল রাজ্য সরকার। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের কাছ থেকে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কারা কাজ করছেন না, জানতে চাওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উল্লেখ করেই তালিকা চাওয়া হল। (Swasthya Bhawan)


আর জি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্যের টানাপোড়েন অব্যাহত। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর মধ্যে তালিকা চেয়ে পাঠানো হয় স্বাস্থ্যভবনের তরফে। কারা কারা কাজ করছেন না, তা জানাতে বলা হয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যই কি এই তালিকা চাওয়া হল, উঠছে প্রশ্ন। (Junior Doctors Protest)


প্রত্যেকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রিন্সিপাল এবং ডিরেক্টরের কাছে চিঠি গিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট গত ৯ সেপ্টেম্বর যে নির্দেশ দেয়, সেই অনুযায়ীই তালিকা চাওয়া হচ্ছে। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাঁরা আন্দোলনে শামিল রয়েছেন, তাঁদের নাম চাওয়া হয়। কেন তালিকা চাওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি স্বাস্থ্যভবনের তরফে।


আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কথা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। এর মধ্যে ইন্টার্ন, হাউজ স্টাফ এবং PGT-রা পড়ছেন। তাহলে কি রাজ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের সংখ্যা বুঝতে চাইছে সরকার, না কি কোনও পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলছে প্রশাসন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসক সংগঠকের সদস্য এবং আন্দোলনকারীরা। একমাস পর হঠাৎ তালিকা চাওয়া হচ্ছে কেন, উঠছে প্রশ্ন।


ঘটনাচক্রে, বেশ কয়েক দিন টানাপোড়েনের পর আজই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। ১৫ জনের বেশি আসা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন মুখ্য়সচিব। কিন্তু ৩০ জনের প্রতিনিধি দলই রওনা দিয়েছে নবান্নের উদ্দেশে। নিজেদের দাবিদাওয়া থেকে একচুল সরেননি তাঁরা। জানিয়েছেন, সমঝোতা নয়, সমাধান বের করতে নবান্নে যাচ্ছেন।


এদিনের চিঠিতে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, বৈঠক লাইভ সম্প্রচার করা সম্ভব নয়। তবে ভিডিও রেকর্ডিং চলতে পারে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক লাইভ হয়, সুপ্রিম কোর্টের শুনানি লাইভ হয়। তাঁদের অনেকে জেলাস্তরেও আন্দোলন করছেন। তাই তাঁরাও যাতে আলোচনা শুনতে পারেন, তার জন্যই লাইভ সম্প্রচার জরুরি। সদর্থক ভাবনা নিয়েই তাঁরা আলোচনা করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।