সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি:RG কর মেডিক্যাল ও হাসপাতালে জুনিয়র ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar Hospita doctor death cse) ঘটনা নিয়ে তোললপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার ২২ দিন কেটে গেল এখনও দোষীরা অধরা। তবে উপযুক্ত শাস্তি যেন প্রকৃত দোষীরা পায়, এই দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক সহ রাজ্যের সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ভাবে।
গত ২৭ অগাস্ট আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের সামিল হয় ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে। এরপরই ছাত্রদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ২৮ আগস্ট ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। বনধকে সার্থক করতে পথে নামে বিজেপি কর্মীরাও।
শিলিগুড়িতেও ওইদিন বনধর সমর্থনে পথে নেমেছিলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায়। এনজেপি এলাকায় বনধ প্রচারে গেলে সেখানেই পুলিশের সামনে তৃণমূল কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হন তিনি, আক্রান্ত হন উপস্থিত জলপাইগুড়ির সাসংদ চিকিৎসক জয়ন্ত রায়। তাঁর গাড়ির ওপরও হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। এমন ঘটনার পরও দোষীরা অধরা।
তারই প্রতিবাদে রবিবার এনজেপি থানা ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করে বিজেপির ৬ নম্বর মণ্ডল কমিটি। বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশাল পুলিশি ব্যারিকেট গড়ে তোলা হয়। আন্দোলনকারীরা থানায় প্রবেশ করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। পরে শিখা চট্টোপাধ্যায় সহ সাতজনের একটি প্রতিনিধি দল এনজেপি থানায় প্রবেশ করে থানার আধিকারিকদের তাঁদের দাবির কথা তুলে ধরেন।
পরে এপ্রসঙ্গে বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায় জানান, পুলিশের সামনে সমস্ত ঘটনা ঘটলেও আজও দোষীরা অধরা। শুধুমাত্র শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকার জন্যই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারেনি বলেই জানান তিনি। তবে দুদিনের মধ্যে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলের গড়ে তোলা হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আর পড়ুন: Tele Medicine: শহরের নানা প্রান্তে ক্য়াম্প তৈরি, টেলিমেডিসিন পরিষেবা জুনিয়র ডাক্তারদের