অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট। জেলাজুড়ে রক্তের জন্য হাহাকার। রক্তের অভাবে হাসপাতালে অস্ত্রোপচার আটকে রয়েছে বলে দাবি রোগীর আত্মীয়দের।


অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোনও গ্রুপেরই রক্ত নেই। ডোনার আনলে তবে মিলছে রক্ত। বন্ধ অপারেশন। কেঁদে কেঁদে ফিরতে হচ্ছে রুগীর আত্মীয় স্বজনদের।প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৪দিনে কোনো ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প না হওয়াতেই এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরে জেলায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়নি, সেই কারণেই রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে দাবি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের।  ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রক্তদান শিবির আয়োজনের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারের আবেদন জানানো হয়েছে। 

২০১৯ এর শেষে থেকে ও ২০২০র শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। সেই সঙ্গে ক্রমে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে রক্তের আকাল।  আমাদের দেশে সাধারণত দেখা যায়, গ্রীষ্মকাল, দুর্গাপুজো এবং ভোটের সময় রক্তের সংকট দেখা দেয়।  কিন্তু করোনাকালে ভয়াবহ আকার সারা বছর ধরেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ভয়াবহ রক্তের সংকট। করোনার মাঝে আবার ডেঙ্গুও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফলে বেড়েছে রক্তের চাহিদা। 

আরও পড়ুন :


ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন চাষের জমি, ধান ও আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা


প্রথমে ভোট এবং দ্বিতীয় করোনা - এই জোড়া থাবায়,   রক্তদান শিবিরের সংখ্যাও রীতিমতো কমে গেছে । তাই রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা। এছাড়াও বিভিন্ন অসুখে নিয়মিত রক্ত নিতে হয় । সেই রোগীদর তো  রীতিমতো প্রাণসংশয় । ব্লাড ব্যাংক আছে  কিন্তু প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত নেই !! অধীর অপেক্ষায় সারে সারে রোগী বসে, কখন দাতা জোগাড় হবে। রক্তদাতার সংখ্যাও কম । নিকটাত্মীয়রা একবার রক্ত দিয়ে ফেললে তিন মাসের জন্য আর রক্ত দিতে পারবেন না । ক্রমেই প্রগাড় হচ্ছে সমস্যা ।



  •  এই পরিস্থিতিতে আরও কয়েকটি প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে ।

  • করোনা আক্রান্ত হলে রক্ত দেওয়া কি সম্ভব ?

  • দিলেও কতদিন বাদে ?

  • ভ্যাকসিন নিলে কি রক্ত দেওয়া যেতে পারে ?

  • দিলেও কতদিন পরে ?

  • হাসপাতালগুলোতে রক্তদান করতে গেলে তা নিরাপদ তো ?


  • রক্তদান শিবিরে দান করা কি নিরাপদ ?