রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri Couple Death) শিশুপাচার চক্রের (Child Trafficking Racket) পর্দাফাঁসকারী দম্পতির মৃত্যু ঘিরে রহস্য। 'যে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের চাপেই আত্মঘাতী (Couple Suicide)', চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের। 'শিশুপাচারে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী, চাপ দিচ্ছিল পরিবারের ওপর', মৃত দম্পতির ঘরে উদ্ধার চার পাতার নোটে উল্লেখ। জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের বিজেপি বিধায়কের। দম্পতির মৃত্যুর নেপথ্যে বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। সুইসাইড নোটে মৃতের হাতের লেখা নয়, দাবি জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে, জানাল পুলিশ।
কী জানা গেল?
মৃতদের নাম সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্য। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে জলপাইগুড়িতে যে শিশুপাচার কাণ্ড হয়েছিল তাতে শাসকদলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে আসে। একাংশের দাবি, প্রভাবশালী হওয়ার সুবাদে সে বার পার পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে দুজন এখনও সেই ঘটনায় জেলবন্দি রয়েছেন। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়কের দাবি, সুবোধ ও অপর্ণাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শুধু তাই নয়। ব্ল্যাঙ্ক চেক এবং বাড়ির দলিল পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয় ভট্টাচার্য দম্পতির। সার্বিক চাপেই সুবোধ ও অপর্ণা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি শিখা চট্টোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি তাঁদের ঘর থেকে যে নোট পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। একাংশের দাবি, এই নোট অপর্ণা ভট্টাচার্যের নয়। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ রুজু হয়নি। এফআইআর দায়ের করেছেন বিজেপি বিধায়ক। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের চাপেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়। এবার এই তদন্তে কী উঠে আসে সেদিকেই নজর থাকবে।
ডিসেম্বরে এক ঘটনা শিলিগুড়িতে...
গত ডিসেম্বরে শিলিগুড়িতে একই ঘর থেকে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত দম্পতির নাম উজ্জ্বল কুমার সিনহা ও দেবলীনা সরকার সিনহা বলে জানা যায়। পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত উজ্জ্বল। জানা যায় উজ্জ্বল বাবু পেশায় প্রাইভেট টিউটর ও দেবলীনা দেবী আর্টের শিক্ষিকা। বুধবার সকালে তাঁরা ঘর থেকে না বের হওয়ায় সন্দেহ হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। এরপরই দরজা খুলে ভেতরে যান তাঁরা। দেখা যায়, বিছানায় উজ্জ্বল সিনহার দেহ পড়ে রয়েছে ও মেঝেতে রয়েছে দেবলীনা দেবীর দেহ। এরপরই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:গুজরাতের আদালতেই আবেদন, সোমবার মানহানি মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ রাহুলের