সুজিত মণ্ডল, নদীয়া: দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার ভাইয়ের (Brothers Body Recovery) দেহ। ঘটনার পর পলাতক দাদা। পুলিশের দাবি, ভাইয়ের দেহে প্রাথমিক ভাবে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর (Shantipur) থানার ঘটনা।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম উত্তম প্রামাণিক। বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুর থানার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মামদোপাড়া এলাকায়। তবে তাঁর দেহ শান্তিপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলেশ্বর তিলপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, উত্তমের দাদা প্রবীর প্রামাণিক তাঁকে ফোন করেছিলেন। বাড়িতে কিছু কাজ আছে বলে উত্তমকে ডেকে নিয়ে আসেন প্রবীর, এমনই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য়রা। কিন্তু দাদার বাড়ির থেকে রাতেও না ফিরে আসায় সন্দেহ দানা বাঁধে উত্তমের পরিজনদের। ফোনে খোঁজখবরের চেষ্টা করলেও  দীর্ঘক্ষণ তা সুইচড অফ ছিল বলে জানায় যুবকের পরিবার। আজ সকালে, উত্তমের স্ত্রী প্রবীরের বাড়িতে এসে দেখেন, দরজা তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে তাঁর স্বামীর পায়ের চটি বাইরে পড়ে রয়েছে। কোনও ক্রমে জানলা ফাঁক করে স্ত্রী দেখতে পান, স্বামীর রক্তাক্ত দেহ ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এরপর শান্তিপুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে দাদা প্রবীর প্রামাণিক ফেরার। তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।


ভাইপোর হাতে 'খুন'...
ঘনিষ্ঠ পরিজনের হাতে খুনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগে আগেও তোলপাড় ফেলেছে রাজ্যে। গত বছর জানুয়ারি মাসেই যেমন জমিজমা নিয়ে বিবাদের জেরে হাসনাবাদে দুই ভাইপোর হাতে খুন হন এক ব্যক্তি। তাঁর হাত থেকেই কোদাল কেড়ে নিয়ে কোপ বসানোর অভিযোগ দুই ভাইপোর বিরুদ্ধে। সরষে ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় ক্ষতবিক্ষত দেহটি। ঘটনার দিন ভোর ৫টা নাগাদ ৫৫ বছরের ভগীরথ সর্দার কোদাল নিয়ে বাড়ি থেকে জমিতে চাষের কাজ সারতে বেরোন। কিছু ক্ষণ পর সরষে ক্ষেত থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কোদাল দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, জমি-জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ভাইপোদের সঙ্গে বিবাদ চলছিল ভগীরথের। এ দিন জমিতে আল দেওয়ার সময় দুই ভাইপো এসে তাঁর উপর চড়াও হন। আল দেওয়াকে ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি তেতে উঠলে সেই সময় ভগীরথের হাত থেকে কোদাল কেড়ে নিয়ে তাঁর মাথার পিছনে কোপ বসানো হয়।


আরও পড়ুন:ফোন চুরি গেল লন্ডনে, ফেরতও এল পনের মিনিটে !