রানা দাস, পশ্চিম বর্ধমান: গুদামঘর (Body Recovery From Warehouse) থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন ছড়াল কালনার (Kalna Body Recovery) রংপাড়া গ্রামে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালনা থানার পুলিশ। মৃতের নাম রকি হালদার বলে জানা গিয়েছে। বয়স ১৭ বছর। ধান সেদ্ধ করা হয়, এমনই একটি স্টিমের গুদামঘর থেকে রকির দেহ মিলেছে বলে খবর।


বিশদ...
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। মৃতের আত্মীয়দের ধারণা, এর পিছনের রকির বন্ধু বান্ধবদের হাত থাকতে পারে। তারাই ১৭ বছরের যুবককে খুন করে বস্তায় ভরেছে, মনে করছেন পরিজনেরা। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, গত দু'মাস ধরে মায়ের সঙ্গে কালনার রংপাড়ার একটি ধান সেদ্ধ করা হয়, এমন স্টিমের গুদামে কাজ করত কালনারই ধর্মডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রকি। গতকাল, রবিবার, সন্ধে গড়িয়ে যাওয়ার পরও ছেলে বাড়ি না ফেরায় মা রিনা হালদার বেশ কয়েক বার রকিকে ফোন করেন। রিনার বক্তব্য, তখন বেশ কয়েকবার ছেলের সঙ্গে কথাও হয়েছিল। কিন্তু তার পরও ছেলে বাড়ি না ফেরায় ফের রকিকে ফোন করেন রিনা। সে বার ফোন বন্ধ ছিল, ফলে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। রাতে বাড়ি না ফেরায় ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান রকির মা। আজ সকালে গুদামঘরে খোঁজ করতে গেলেই এক কোণে বস্তা বন্দি অবস্থায় কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই দেখেই চিৎকার করে ওঠেন মৃতের মা। শুনে ছুটে আসেন বাকি কর্মীরা।সঙ্গে সঙ্গে কালনা থানার পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে কালনা হাসপাতালে পাঠায়। কী কারণে খুন, কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 


আনন্দপুরে গুদামের ছবি...
গত বছর জানুয়ারি মাসে, খাস কলকাতার আনন্দপুরে লোহার ছাঁটের গুদাম থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তির নাম ছিল বিশ্বজিৎ জানা। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানায় আনন্দপুর থানা। তবে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। শুধু জানা যায়, আনন্দপুরে যুবককে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল বিশ্বজিৎকে। সম্ভবত মদের আসরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ। মৃতদেহ আটকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে মদের ঠেক ভাঙচুর করা হয়। 


আরও পড়ুন:আবাসে বন্ধ টাকা, ফের রাজ্যের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের