বগটুই: সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের মৃত্যু । সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্যাকাণ্ডে ধৃত লালন শেখের মৃত্যু। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের রহস্যমৃত্যু হয় এদিন। ২১ মার্চ খুন হন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ, সেই রাতেই বগটুইয়ে পুড়িয়ে ১০জনকে খুন করা হয়েছিল। বগটুই হত্যাকাণ্ডে এখনও ২৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের ধারে, তৃণমূলের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরই বগটুই গ্রামে সংগঠিত হয় প্রাণঘাতী হামলা! জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক বাড়ি! অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মোট ১০ জনের। সিবিআই সূত্রে দাবি, হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিল নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু-ঘনিষ্ঠ লালন শেখ। ঘটনার পর ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দেয় লালন।
৩ ডিসেম্বর বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ৪ তারিখ আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় রামপুরহাট মহকুমা আদালত। ১০ তারিখ ফের তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে হলে বিচারক লালনকে ফের তিন দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। বগটুইকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ২৭ জন।
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু! সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। লালন শেখ আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সিবিআই সূত্রে। অন্যদিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করেছে লালন শেখের পরিবার। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে মৃত্য়ু? উঠছে প্রশ্ন!
রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে। এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে। সিবিআই হেফাজতে মৃত্য়ু বগটুইকাণ্ডে ধৃত লালন শেখের! রামপুরহাটে CBI-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পে মৃত্য়ু হয় ধৃত লালন শেখের।বগটুই হত্যালীলায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতারের পর রামপুরহাটের সরকারি গেস্ট হাউস পান্থশ্রীতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে জেরা করছিলেন সিবিআই অফিসাররা। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ।
সিবিআই দাবি করছে, বগটুইকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখ আত্মহত্য়া করেছেন। কিন্তু, লালন শেখের পরিবার দাবি করছে, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি এদিন তাদের দুজন অফিসার আদালতে গিয়েছিলেন। সেই সময় পূর্ত দফতরের গেস্ট হাউস, যাকে অস্থায়ী ক্য়াম্প হিসাবে ব্য়বহার করছে সিবিআই, সেখানে ছিলেন লালন শেখ। তাঁর পাহারার দায়িত্বে ছিলেন দুই CRPF। সেই সময় বাথরুমে যেতে চান লালন। বাথরুমের বাইরে তখন ছিলেন ১ CRPF কর্মী। বেশকিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেননি লালন। তখন জোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুললে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
যদিও, লালনের পরিবারের দাবি, তাঁকে পিটিয়ে মেরেছে সিবিআই। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে মৃত্যু হল বগটুই অগ্নিকাণ্ডের অন্য়তম প্রধান অভিযুক্তর ? পাহাড়ার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী CRPF কী করছিল ? অসুস্থ হয়ে মৃত্য়ু? না কি অন্য কোনও কারণ? বগটুই অগ্নিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালনের মৃত্য়ুতে কার লাভ? বগটুই অগ্নিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালনের মৃত্য়ুতে কি ধাক্কা খাবে তদন্ত? সব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।