ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: সপ্তমীর সকালে বোলপুরের সিয়ানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। খারাপ রাস্তায় গর্তে বাস উল্টে মৃত্যু এক শিশুর। আহত অন্তত ৩০ জন। আহতরা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। আহতদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুরুতর আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কীর্ণাহার থেকে বোলপুরে যাচ্ছিল বাসটি। টোটোকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি গর্তে পড়ে যায়, খবর স্থানীয় সূত্রে।
সোমবার সকালে কীর্ণাহার থেকে বোলপুর আসার সময় বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক শিশুর। আহত হন অন্তত ২৫-৩০ জন যাত্রী। আহতদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহতদের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবাহী বাসটি কীর্ণাহার থেকে বোলপুরের দিকে আসছিল। অভিযোগ, বাসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বেপরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। বাসের সামনে একটি টোটো ছিল। টোটো কে সাইড দিতে গিয়ে বাসের চাকা গর্তে পড়ে যায়। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ধান জমিতে উল্টে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা যাত্রীদের উদ্ধার করে।
কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে ঠাকুর দেখে ফেরার পথে নদিয়ার তেহট্টে দুর্ঘটনা। গাছে ধাক্কা মারে গাড়ি, ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের স্ত্রী-সহ ৪ জন আহত হন। আজ ভোরে তেহট্টের ইসলামপুরে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। নিজের গাড়িতে স্ত্রী ও আত্মীয়দের নিয়ে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গেছিলেন করিমপুরের বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস। ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে গাড়ি। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ১ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত ৪ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়াতেইদুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
এর আগে পুজো শুরুর মুখে চন্দননগরের পটুয়াপাড়া থেকে ঠাকুর আনতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না ৩ জনের। পথ দুর্ঘটনায় আহত আরও ৩। অন্যদিকে, কলকাতা থেকে ঠাকুর দেখে ফেরার পথে নদিয়ার তেহট্টে দুর্ঘটনা। গাছে ধাক্কা মারে গাড়ি, ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের স্ত্রী-সহ ৪ জন আহত হন।