কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর এবার জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের আরেক বিধায়ক দাবি করলেন দল পাশে আছে, অন্যায় করিনি, তদন্ত চলছে। এদিন নিজাম প্যালেস থেকে এসএসকেএমে রুটিন মেডিক্যাল চেক আপে যাওয়ার পথে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই প্রথম দল সম্পর্কে মুখ খুললেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।


তৃণমূলের উপর আস্থা জীবনের: কয়েকদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন মেডিক্যাল চেক আপে যাওয়ার সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কী বার্তা দিতে চান দলকে? আপনি কী বার্তা দিতে চান বলুন? দল কি সঙ্গে আছে? উত্তরে জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, "দল অবশ্যই আমার পাশে আছে। আমি তো কোনও অন্যায় করিনি। অন্যায় করেছি তাও প্রমাণিত হয়নি।''


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরেক বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জেলবন্দি। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী দিনকয়েক আগে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শুভেচ্ছা জানান। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সফরসূচির সাফল্য কামনা করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই একই পথে হেঁটে দলের প্রতি আস্থা রয়েছে তা বোঝাতে চাইলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আরেক তৃণমূল বিধায়ক। 


এদিকে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের (TMC mla) বেতন বন্ধ করে দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও বীরভূমের নানুরে দেবগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, 'বিধায়ক হওয়ার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাননি জীবনকৃষ্ণ। স্কুলের বেতন ও বিধায়ক ভাতা নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে স্কুলে আসেননি জীবনকৃষ্ণ, অথচ নিয়মিত স্কুলের বেতন নিয়েছেন।' বিষয়টি জেলার স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।


দেবগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, 'জীবনকৃষ্ণ সাহা যে দিন গ্রেফতার হয়েছে সেই দিন থেকে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ এআই এবং ডিআই কে লিখিত জানানো হয়েছে। কারণ বেতন কত পাবে তা স্কুল কর্তৃপক্ষ হিসাব করে দিলেও এআই এবং ডিআই এর অনুমোদন ছাড়া বেতন পান না। গত ছ-মাসের বেশি সময় ধরে মাসে এক দিন বা সেটাও আসতেন না। কিন্তু বেতন নিয়েছেন। উনি বিধায়ক হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি। এমনকি লিয়েনের জন্য কোনও আবেদন উনি জমা করেননি। তার জন্য ওঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারিনি।


আরও পড়ুন: Fruit Juice : গরমে ঘন ঘন ফলের রস পান করছেন ? কী ক্ষতি হতে পারে