কলকাতা : শুধু গরমেই নয়, প্রতিটি ঋতুতেই ফলের রস (Fruit Juice) পান করা শরীরের পক্ষে উপকারী। তবে, বেশিরভাগ মানুষই গ্রীষ্মের (Summer) মরসুমে শরীরের হাইড্রেশন এবং শক্তির জন্য জুস পান করতে পছন্দ করে। ফলের রসকে পুষ্টির ভাণ্ডার বলা হয়। এতে অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।


ফলের মধ্যে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি হার্টকে সুস্থ রাখে। জুস উপকারী, তবে জুস থেকে ফাইবার এবং অন্যান্য কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অপসারণের কারণে এটি অতিরিক্ত পান করা ক্ষতিকারক হতে পারে। 


ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ পাওয়া যায়। এটি এক ধরনের চিনি। এ কারণেই বেশি জুস পান করলে ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়তে পারে। 


গ্রীষ্মে, অতিরিক্ত জুস পান করা খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই সঠিক সময় জেনে এবং সঠিক পরিমাণে জুস পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।  স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জুসে প্রচুর ক্যালোরি পাওয়া যায়। এক কাপ রসে ১১৭ ক্যালোরি এবং প্রায় ২১ গ্রাম চিনি পাওয়া যায়। এতে ফ্রুক্টোজ বেশি থাকে। এই কারণেই অতিরিক্ত জুস পান করলেও শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু ফলের রসে চিনি বেশি পাওয়া যায়। অতএব, যখনই এটি অতিরিক্ত পান করা হয়, সুগার বাড়তে পারে। এ কারণে ডায়াবেটিসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত ফলের রস পান করলে দাঁতে কৃমিও হতে পারে। এটি লিভারকে সঠিকভাবে হাইড্রেট রাখে না। এ কারণেই গ্যাস্ট্রিক রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু লোকের সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে জুস পান করার অভ্যাস থাকে বা রাতে ঘুমানোর আগেও পান করে। কিন্তু, এটি সঠিক পথ নয়। সকাল সকাল জুস পান করলে শরীরের সুগার লেভেল বাড়তে পারে। তাই ব্রেকফাস্টের পর জুস পান করা উচিত। এক গ্লাস জুস পান করার সেরা সময় হল ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবারের মধ্যেকার সময়টা। খালি পেটে জুস খাওয়া অনুচিত।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন ; কোন কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন হিটস্ট্রোক ? ব্রেন স্ট্রোকের সঙ্গে এর ফারাক কোথায় ?