সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিত্র, পোলবা: দেওরের বাড়ি ঘেঁষে বাড়ি করেছিলেন বিধবা এক মহিলা। তা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মাঝে মধ্যেই তুমুল ঝগড়া হত। শেষ পর্যন্ত সেই বচসার জেরে বৌদিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করল দেওর। বুধবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পোলবার (Polba) আলিনগরে (Alinagar)। মৃতের নাম পানমণি হাঁসদা (৪০)।


আরও পড়ুন: CESC Threat Culture : থ্রেট কালচারের ছায়া কি CESC-র অফিসে? তরুণীর কাছে 'বদলির জন্য টাকার দাবি থেকে মারধর'


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে পানমণি হাঁসদার স্বামী মারা গেছেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে আর ছেলে অন্য রাজ্যের সোনার কাজ করেন। আর ছেলের বউকে সঙ্গে নিয়ে পোলবার আলিনগরের বাড়িতেই বসবাস করতেন পানমণি। দেওর অমিত হাঁসদার বাড়ির একদম গা ঘেষে বাড়ি করায় মাঝে মধ্যেই তার সঙ্গে পানমণির ঝগড়া হত। বুধবার সকালে নিজের বোনের সঙ্গে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন পানমণি। সেই সময় আচমকা অমিত হাঁসদা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিছন দিকে তাঁর গলায় সজোর কোপ মারে।


আরও পড়ুন: Haji Nurul Islam Passes Away: প্রয়াত বসিরহাটের সাংসদ শেখ হাজী নুরুল ইসলাম, পরিবারের পাশে থাকার বার্তা মমতার


পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরে বুধবার সকালে পানমণি যখন বোনের সঙ্গে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন সেই সময় পিছন দিক থেকে ধারালো একটি অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলায় কোপ মারে দেওর অমিত হাঁসদা। এর ফলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন পানমণি। এদিকে চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে দেখে চিৎকার করতে থাকেন পানমণির বোন। তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকেরা ছুটে এলে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অমিত। স্থানীয় লোকজন এসে পানমণিকে তড়িঘড়ি চুঁচুড়া সদর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে আসার পর পানমণিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করে অমিত। এদিকে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Exclusive Interview : সন্দীপ ঘোষ থেকে উত্তরবঙ্গ লবি, এবিপি আনন্দে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক