প্রদ্যূৎ সরকার, নদিয়া (মুর্শিদাবাদ): সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে এসে পড়েছিল কিছু। খুঁজেপেতে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ। এক নয়, দুই নয়, উদ্ধার হল ৪৯ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট (Gold Biscuits)। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ওই সোনা পাচার করা হচ্ছিল বলে দাবি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (BSF)। করিমপুর শুল্ক দফতরের হাতে উদ্ধার হওয়া ওই সোনা তুলে দেওয়া হয়েছে (Border Smuggling)।
সীমান্তে উদ্ধার সোনার বিস্কুট
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানকারীদের সক্রিয়তা কারও অজানা নয়। শুক্রবার রাতে তেমনই সক্রিয়তার প্রমাণ ফের পান ৮৬ নম্বর ব্য়াটেলিয়নের সীমা চৌকি খড়কা বাহাদুর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের আনাগোনার খবর এসে পৌঁছেছিল। সেই মতো রাতে নিজ নিজ এলাকায় মোতায়েন ছিলেন জওয়ানরা। নির্ধারিত সময়ই কাঁটাতারের ওপারে কয়েক জনের গতিবিধি ঠাহর করেন তাঁরা।
সেই সময়ই দেখা যায়, কাঁটাতারের ওপার থেকে ভারী ওজনের একটি এদিকে ছুড়ে দেয় কিছু ছায়ামূর্তি। তাদের নাগাল পেতে ধাওয়া করতে শুরু করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু ঘন ঝোপের আড়ালকে ঢাল করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ছায়ামূর্তির ওই দল।
আরও পড়ুন: Hooghly News: সম্পত্তির লোভে সুপারি কিলার দিয়ে দাদাকে খুন! গ্রেফতার ভাই সহ ২
এর পর কাঁটাতারের এ পারে কী এসে পড়েছে, তা দেখতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তাতে ভারী ওজনের একটি বান্ডিল উদ্ধার হয়। খুলে দেখা যায়, তার মধ্যে আটটি সোনার বিস্কুট রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সেগুলি ভারতে পাচার করা হচ্ছিল বলে ধারণা বিএসএফ-এর। ভারতের বাজারে সেগুবির আনুমানিক মূল্য ৮৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৫ টাকা।
বিএসএফ-এর তৎপরতার প্রশংসা
উদ্ধার হওয়া ওই আটটি সোনার বিস্কুট আইনি প্রক্রিয়ার জন্য করিমপুর শুল্ক দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। ৮৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ড্যান্ট সুরেন্দ্র কুমার জওয়ানদের সতর্কতা এবং তৎপরতার প্রশংসা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় জওয়ানরা সীমান্ত অপরাধ এবং পাচার প্রতিরোধ করতে সম্পূর্ণরূপে নির্ধারিত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এত বড় প্রাপ্তিতে জওয়ানদের পরিশ্রম এবং সততাই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা জওয়ানদের মনোবল আরও বৃদ্ধি করবে বলেও আশাবাদী তিনি।