কলকাতা: জ্ঞান ফিরলেও, সঙ্কট কাটেনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya)। এখনও সঙ্কটজনক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কাল সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হবে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত, জানালেন চিকিৎসকরা।
কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন,অশক্ত শরীরে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করছেন তিনিও।কিন্তু জ্ঞান ফিরলেও, সঙ্কট কাটেনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। চিকিৎসকরা বলছেন, ৪৮ ঘণ্টা না পেরোলে নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকায় শনিবার রাতেই তড়িঘড়ি বুদ্ধবাবুকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে পুরোপুরি মেকানিক্য়াল ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞান ফিরিয়ে আনতে তাঁর ঘুমের ওষুধ বন্ধ করা হয়েছে।
তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, তাঁকে চিনতেও পেরেছেন বুদ্ধবাবু। চিনতে পেরেছেন, বামফ্রন্ট চেয়ারম্য়ান বিমান বসুকেও। শুনতে পাচ্ছেন, সাড়াও দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।বাইল্য়াটারাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মিক্সড রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়েছে। দীর্ঘদিনের COPD-সমস্য়ার পাশাপাশি করোনা হওয়ায় দরুণ তাঁর শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার,তাঁর সিটি স্ক্যান করার পরিকল্পনা করা হলেও, শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। নিউমোনিয়ার পরিস্থিতি দেখতে সোমবার সিটি থেরক্স করা হবে। রবিবার, হবে ইকো কার্ডিওগ্রাম। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রের অবস্থা স্থিতিশীল। শনিবার, রক্তে শর্করার মাত্রা ৪০০-র আশেপাশে ছিল। ইনসুলিন প্রয়োগ করে তা ২০০-র নিচে নামানো গেছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি রয়েছে। বেশিরভাগ খাবার রাইলস্ টিউবের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্য়ান্ট ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, তা বুদ্ধবাবুর শরীরে কতটা কাজে লাগছে, এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের নজর এখন সি-রিয়্যাকটিভ প্রোটিন অর্থাৎ CRP-র রিপোর্টের দিকে। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। অর্থাৎ তাঁর শরীরের অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। ভেন্টিলেশন থেকে বের করার আগে পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial