কলকাতা: ভরদুপুরে বজবজে জনবহুল এলাকায় শ্যুটআউট, গ্রেফতার ১। কাকদ্বীপ থেকে আফ্রিদি নামে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার। আলিপুর কোর্টে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে খুনের মামলায় অভিযুক্তকে গুলি। ট্রেনে বজবজ ফিরে বাইকে ওঠেন আলতাব উদ্দিন, তারপরেই হামলা।
ভরদুপুরে শ্যুটআউট বজবজে: ভরদুপুর, আশপাশে খোলা দোকানপাট। রাস্তায় চলছে গাড়িঘোড়া। তার মধ্যেই প্রকাশ্য শ্যুটআউট। হাড়হিম করে দেওয়া এই দৃশ্য উত্তরপ্রদেশ বা অন্য কোনও রাজ্যের নয়।এই ছবি খোদ এই বাংলার। তাও একেবারে কলকাতা লাগোয়া বজবজে। দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা থেকে যে এলাকার দূরত্ব মাত্র সাড়ে ১৪ কিলোমিটার। আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন এক অভিযুক্ত।
যে দৃশ্য দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে উমেশ পালকে হত্য়ার মুহূর্তের সই ভয়ঙ্কর ছবি। প্রকাশ্য় রাস্তায় খুন। বজবজের ছবি যেন হুবহু সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এক্ষেত্রে অবশ্য প্রাণহানি হয়নি। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আলতাব উদ্দিন।পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০০ সালের একটি খুনের ঘটনায়, আলিপুর আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন এই মামলায় অভিযুক্ত আলতাব। সেখান থেকে ফেরার পথে বজবজ স্টেশন থেকে, আরেকজনের মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। স্টেশন থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে, মহত্মা গাঁধী রোডের উপর কয়লাসড়কে, তাঁদের বাইকের পাশেই চলে আসে আরেকটি বাইক। এরপরই পিছনে বসে থাকা আলতাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অন্য বাইকে বসে থাকা দুষ্কৃতী।
কিন্তু কেন এই হামলা? স্থানীয় সূত্রে খবর, আলতাব ও শোবরাজ, দুজনেরই বাড়ি নোদাখালি থানা এলাকায়।মাটি কাটার সিন্ডিকেট নিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। একদিকে ডাকাতির ঘটনায় ১০ বছর জেল খেটেছেন আলতাব। অন্যদিকে গাঁজাকেসে একসময় জেলে ছিলেন শোবরাজও। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই সময় জেলের মধ্যেই তাঁরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে, আলতাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন শোবরাজ। কিন্তু, সেবার গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।এবার ফের একইভাবে হামলার অভিযোগ উঠল সেই শোবরাজের বিরুদ্ধেই। CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে, তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিন সন্ধের কাকদ্বীপ থেকে অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Blackheads: ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে দূর করবেন ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা?