মেমারি : হত সাতপাক। আবদ্ধ হলেন ইদানীং কালে নেটদুনিয়ায় বহুচর্চিত বর্ধমানের জুটি সন্দীপন -অদিতি। না , এঁরা সেলেব নন। করোনা কালে এঁদের দু-একটি সিদ্ধান্তই স্বতন্ত্র করে তুলেছে বিয়েকে। গাঁটছড়া বঁধা সামনে থেকে দেখলেন অদিতি ও সন্দীপনের পরিবারের মুষ্টিমেয় সদস্যরা আর বাকিরা থাকলেন নেট মাধ্যমে। গুগল মিটের (Google Meet) মাধ্যমে এঁরা দেখলেন বিয়ে। আর ফেসবুকেও একটি লিঙ্ক শেয়ার করা হল, যাতে বিয়ে দেখতে পারল নেটিজেনরা। কথামতোই ফুড প্যাকেট পৌঁছল নিমন্ত্রিতদের ঘরে ঘরে। তবে বিয়ের রাতে বড় চমক দিলেন পাত্র ।
বর্ধমানের সন্দীপনের বিয়ের চমকে নতুন সংযোজন ছিল বর ও বরযাত্রীর সাইকেল র্যালি। বেশ কয়েক কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে হবু বর গেলেন শ্বশুরবাড়ি। কারণ ? জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সময়ে বার্তা দেওয়ার ভাবনার পাশাপাশি সন্দীপন তুলে ধরলেন পরিবেশ ও জ্বালানী বাঁচাতে সাইকলের ভূমিকার কথা। বললেন, ' আমরা যেন কাছে-পিঠে কোথাও গেলে তেল না পুড়িয়ে সাইকেলেই যাই, তাই এই ভাবনা। আমার সঙ্গে আছেন আরও ১১ বরযাত্রী। ওঁরাও সাইকেলেই কয়েক কিলোমিটার যাচ্ছেন আমার সঙ্গে'
কোভিড আবহে বর্ধমানের সন্দীপন-অদিতির পরিবারের লোকেরাও ছিলেন বিস্তর চিন্তায়। ২৪ জানুয়ারি বিয়েবাড়ি। কাকে ছেড়ে কাকে ডাকবেন। বুদ্ধি বাতলেছিলেন পাত্র নিজেই। মাসের শুরুতেই পাত্রকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালেও ! এরপরই এই ভাবনা। পাত্রী অদিতি দাস ও এতে দারুণ খুশি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবার মিলিয়ে ১০০ জন হাজির থাকলেন, আর বাকিরা রইলেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। নিমন্ত্রিতদের ভূরিভোজের আয়োজনও করা হল। আর আমন্ত্রিতরা ভারতের যে যেখানে আছেন, তাঁদের কাছে একই ফুড প্যাকেট সুন্দর ভাবে পৌঁছে দিল জোম্যাটো (Zomato Food Delivery)। সন্দীপন জানালেন, একটু আধটু সমস্যা ছাড়া পুরো বিষয়টিতে কোনও সমস্যা আসেনি। সকলেই পেয়েছেন নৈশভোজ। আয়োজনে খুশি বর-কনে উভয় পক্ষই।