আবীর দত্ত, কালনা : সকাল থেকেই উত্তপ্ত কালনা। একের পর এক অশান্তি ও নিয়ম ভাঙার খবর সামনে আসছে। কালনা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অম্বিকা মহিষমর্দিনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুথে একের পর এক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠল। কারচুপি করার ছবি সরাসরি ধরা পড়ল এবিপি আনন্দ-র ক্যামেরায়। 


ভুয়ো ভোটার শনাক্ত করায় বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীকে বুথের ভিতর আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথ থেকে বের হয়ে দৌড় দেওয়া ব্যক্তির পিছনে দৌড়লেন এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধি আবীর দত্ত। ' কটা ভোট দিলেন, কটা ভোট দিলেন' ছুটলেন আমাদের প্রতিনিধি।  ক্যামেরা দেখেই কাপড়ে মুখ ঢেকে চম্পট দিল ভুয়ো ভোটার । 


কালনা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবার আরেক অদ্ভুত ছবি। লাইনে দাঁড়িয়ে ভুয়ো ভোটার। হাতে ধরা ভোটার কার্ডে লেখা সোমনাথ মণ্ডল। অথচ নাম জিজ্ঞাসা করায় জানান, পরিমল মণ্ডল।  ক্যামেরা দেখেই ভোটার কার্ড ছিনতাই করে সটান বুথে ঢুকে যান তৃণমূলের এজেন্ট ! পুলিশের ভূমিকা নীরব দর্শকের। 


কালনা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কালনা অম্বিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদানে বাধা, মহিলাদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। 


পূর্ব বর্ধমানের ৬ পুরসভায় আজ ভোটগ্রহণ চলছে।  মেমারি পুরসভা, কাটোয়া পুরসভা, দাঁনহাটা পুরসভা, বর্ধমান পুরসভা, গুসকরা পুরসভা এবং কালনা পুরসভায় ভোট চলছে । ২০১৫ সালে বর্ধমানের এই পুরসভাগুলোতে নির্বাচন হয়েছিল। ২০২০ -তে মেয়াদ শেষের পর আর ভোট হয়নি।


রবিবার রাজ্যের ২০টি জেলার ১০৮টি পুরসভায় ভোট। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যদিও অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে আগে থাকেই।  বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ। মোট ওয়ার্ড ২ হাজার ২৭১টি। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও আছেন পুলিশ আধিকারিক। সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


পুরভোটে ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার আছেন ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে। মোতায়েন ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী। এর সঙ্গে আছেন ১০ জন আইএএস, যাঁদের সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার করা হয়েছে। অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার, সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। পুরভোটের ফল ঘোষণা ২ মার্চ।