কলকাতা: শহরে ফের বাস দুর্ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল দ্বিতীয় হুগলি সেতু। ব্রেক ফেল করে পর পর গাড়িতে ধাক্কা মারে বেসরকারি বাস। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
ফের বাস দুর্ঘটনা, এবার বিদ্যাসাগর সেতুতে ব্রেক ফেল করে পর পর গাড়িতে ধাক্কা মারল বেসরকারি বাস। আহত হন বেশ কয়েকজন। আজ সকালে ধূলাগড়-নিউটাউন রুটের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি ও মিনিডোরের পিছনে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় সেতুর ওপরেই উল্টে পড়ে মিনিডোর। এই একইদিনে চিনার পার্কে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বাইক আরোহীর। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২১১ রুটের একটি বাস এসে ধাক্কা মারে এক বাইক আরোহীকে। ঘটনাস্থলে পড়ে যান বাইক আরোহী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি কালাকার স্ট্রিট এবং এম জি রোড ক্রসিংয়ে, বেপরোয়া বাসের গতির বলি হল একজন। মালিপাঁচঘড়া থেকে শিয়ালদাগামী বাসটি এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসে বেশি সংখ্য়ক যাত্রী না থাকায় বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রাণ হারিয়েছেন এক ৬৮ বছরের পথচারী বৃদ্ধা। জখম হন আরও ৪ জন।
এরপর গত ২১ জানুয়ারি একদিনে তিন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুজনের। মেয়েকে স্কুলে ছাড়তে যাওয়ার সময় সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল মায়ের, গুরুতর আহত হন বাবা। অল্পের জন্য় রক্ষা পায় শিশু। স্থানীয়রা জানান, যাদবপুর এইট বি বাস স্ট্যান্ডের কাছে, চলন্ত বাইকে ধাক্কা মারে S-31 রুটের সরকারি একটি সরকারি বাস। বাসের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে যান সন্তোষপুরের খুদিরাম বোস রোডের বাসিন্দা শিশু সহ ৩জন। এরপর মহিলার মুখের একাংশের ওপর দিয়েই চলে যায় বাসের চাকা। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় বছর ২৮ এর শ্রীদেবি মণ্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজের সামনে বেপরোয়া ম্যাটাডোরের ধাক্কায় উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই অটো। দুর্ঘটনার কবলে প়ড়ে আরও ৩টি অটো। ঘটনায় আহত হন অটো চালক-সহ ৬ জন। এদের মধ্যে একজন গুরুতর জখম হন। তাঁকে ভর্তি করা হয় পিয়ারলেস হাসপাতালে। সোমবার রাতে, বেপোরোয়া গতিতে আসা গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হয় বছর ৫০ এর এক মহিলার।
আরও পড়ুন: WB Medicine Shop: আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মুখ ফেরানোর অভিযোগ, এবার নজরে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান